বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খোদ দেশের প্রধান বিচারপতির (CJI Chandrachud) নাম করে মারাত্মক প্রতারণা (Fraud)! ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সেজে এক শিল্পপতির থেকে ৭ কোটি টাকা হাপিস করে দিলেন কিছু দুষ্কৃতী! এও সম্ভব? একেবারে ফিল্মি কায়দায় হল লুঠ। যেভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হল, তাতে রীতিমতো থ হয়ে গিয়েছে পুলিশ।
প্রতারণার ফাঁদে পদ্মভূষণ প্রাপক শিল্পপতি
ভুয়ো পুলিশ অফিসার বা সিবিআই অফিসার সেজে প্রতারণার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে এবার কেবল ভুয়ো অফিসারেই শেষ নয়, রীতিমতো ভুয়ো ভার্চুয়াল আদালতকক্ষ বানিয়ে একজনকে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সাজিয়ে প্রতারণা চলল। পদ্মভূষণ প্রাপক শিল্পপতি এসপি ওসওয়ালের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হল সাত কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, প্রতারকরা প্রথমে দাবি করেন জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত একটি আর্থিক তছরুপের মামলায় বর্ধমান গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এই দুজনার নাম জড়িয়ে গিয়েছে। এই মামলার ভুয়ো শুনানিও হয় স্কাইপে কলের মাধ্যমে। সেখানে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় সেজে হাজির ছিলেন এক ব্যক্তি।
হোয়্যাটসঅ্যাপে ভুয়ো আদালতের নির্দেশনামাও পাঠানো হয়েছিল ওই শিল্পপতিকে। এক জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শিল্পপতির সঙ্গে নরেশ গোয়েলের পরিচয় ছিল না। কিন্তু জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে যোগ থাকা একটি মামলার নাম করে তার সাথে প্রতারণা চলে। স্কাইপে ‘অন’ রেখে দু’দিন চব্বিশ ঘণ্টা তার উপরে ডিজিটাল নজরদারি চালানো হয়েছিল ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকদের দ্বারা।
শিল্পপতির কথায়, ‘যেভাবে ভুয়ো আদালতে শুনানি হয়েছিল, সেটা এতটা নিখুঁত ছিল যে আমি সবটা সত্যি ভেবেছিলাম। সেখানে শুনানি চলাকালীন আমার সঙ্গে একজনকে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ,ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI Chandrachud) বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ওরা। যদিও আমি তার মুখ দেখতে পারি নি। গলায় আওয়াজ শুনেছিলাম শুধু।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবটা সত্যি ভেবেছিলাম আমি। তাই ওদের কথা মতো সাত কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম।’ তবে ঘটনার পরই সন্দেহ হতে শুরু করে ওই শিল্পপতির। পরবর্তীতে নিজের কোম্পানির এক শীর্ষকর্তাকে গোটা বিষয়টি খুলে বললে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় অসম থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে লুধিয়ানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে বড় ধামাকা! একাদশ-দ্বাদশের ১০০০০ টাকা নিয়ে বিরাট ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
ধৃতদের কাছ থেকে ৫.২৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে শিল্পপতির অ্যাকাউন্টে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত সেই বিষয়ে খোঁজ চলছে। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, প্রতারণা গ্যাংয়ের সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গ সহ অসম, দিল্লির বাসিন্দা।