নিজস্ব প্রতিনিধি,নানুরঃ ‘ফ্রী বাজারে’ এলেই মিলছে বিনামূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। সেখানে রয়েছে চাল,ডালের দোকান এবং সবজির হাট। সেখানে যে আসছে সেই পাচ্ছে বিনামূল্যে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। প্রত্যকদিন প্রায় কয়েক হাজার,হাজার দুস্থ মানুষ এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে নানুরে পাপুড়ি গ্রামে পাপুড়ি হাই মাদ্রাসা স্কুলে আসছেন। সেখানে অস্থায়ী দোকান তৈরি করে এই মাল বিতরণ করছেন নানুরে বলিষ্ঠ তৃনমূল নেতা তথা কার্যকরী সভাপতি কাজল শেখ। তাঁর উদ্যোগেই চলছে এই ‘ফ্রী বাজার’ মার্কেট। ওনার সঙ্গে সহযোগিতা করছেন ওনার দলের সঙ্গীরা। তবে এই ফ্রী বাজারে এসে প্রথম হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুলেই মিলছে বিনামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। খোদ তৃনমূল নেতা কাজল শেখ নিজেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলছেন মানুষদের পাশাপাশি সাবান ও যাদের মুখে নেই মাস্ক তাদেরকে নিজের হাতে মাস্ক পড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি নিজেই। পাশাপাশি করোনা নিয়ে নানারকম সচেতনতা মূলক কথাবার্তা আলোচনা করছেন তিনি মানুষজনের সঙ্গে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এই বিনামূল্যে এই বাজার চলছে রমরমিয়ে।
করোনা মোকাবিলা করতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের জেরে বন্ধ সমস্ত দোকানপাট। লকডাউনে যাতে কোন মানুষ অভুক্ত না থাকে সেইজন্য খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি পিছিয়ে নেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে শুরু করে বিশিষ্ট সমাজসেবকরা। যেদিন থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে সেইদিন থেকে নানুর বিধানসভার সমস্ত দুস্থ মানুষ সহ সাধারণ মানুষদের মধ্যে তিনি এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। তবে দিন দিন লোকসংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ার জন্য তিনি পাপুড়ি হাই মাদ্রাসা স্কুলে অস্থায়ী ছাউনি করে বিনামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান করেছেন।
https://youtu.be/qCDkiMO5vt8
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করার পর এক দুস্থ মানুষ জানান,“কাজল ভাই আমাদের খুব সাহায্য করছেন। যেদিন থেকে লকডাউন চলছে সেইদিন থেকেই তিনি আমাদের পাশে আছেন। আমরা খুব খুশি।”
এই বিষয়ে তৃনমূল নেতা কাজল শেখ বলেন, “প্রথমে আমি পাপুড়ি গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছিলাম। কিন্তু লকডাউন যত বাড়ছে তত লোকসংখ্যা বেশি হচ্ছে। তাই বীরভূম জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ অনুযায়ী পাপুড়ি হাই মাদ্রাসা স্কুলে বিনামূল্যে বাজার তৈরি করি। এখন ওইখানে প্রত্যেকদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ বিনামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করছেন। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন আমাদের এই বিনামূল্যে বাজার চলবে। তবে আমাকে এই কাছে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যেমন সাহায্য করছেন তেমনি বহু জায়গা থেকে বহু সমাজসেবক আমাকে সাহায্য করে চলেছেন। তবে এই দুঃসময়ে মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমিও খুব খুশি।”