বাংলা হান্ট ডেস্ক : ছোট থেকেই পিস্তল চালাতে শিখে গিয়েছিল আসাদ (Asad Ahmed) ১২ বছর বয়সেই হাতে বন্দুক তুলে নেয় সে। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় কিছু আগে। সেখানে দেখা গিয়েছে, আসাদ শূন্যে পর পর গুলি ছুড়ছেন। ২০১৭ সালের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছিল বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। আসাদ যখন গুলি চালাচ্ছিলেন, তাঁকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়দের দাবি, ছোট থেকেই নিজের সন্তানদের বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছিল আতিক।
পড়াশোনার প্রথম থেকেই ভাল ছিলেন আসাদ। মিশনারি স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। ক্লাসের প্রথমও হয়েছে সে। স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করে বিদেশে আইন পড়তে যাওয়ার কথা ছিল আসাদের। কিন্তু পরিবারের অপরাধের রেকর্ড থাকায় তাঁর পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যায়। পুলিস সূত্রে খবর, ছোটবেলা থেকেই আসাদ বদমেজাজি স্বভাবের ছিল সে। হার কিছুতেই মেনে নিতে পারত না।
স্কুলে এক বার দড়ি টানাটানি প্রতিযোগিতায় সে ছিলেন দলের নেতা। তাঁর দল হেরে যাওয়ায় খেলার শিক্ষককে স্কুলের মধ্যেই মারধর করে। সাংসদের ছেলে এবং তাঁর পরিবারের অপরাধের রেকর্ড ছিল, তাই স্কুল কর্তৃপক্ষও সেই সময় অভিযোগ জানাতে সাহস পাননি। ২০০৪ সালে আতিক যখন সাংসদ হন, তাঁর গ্যাংয়ের লোকেরা আসাদকে ‘ছোটে সাংসদজী’ বলে ডাকতেন।
পুলিস আরও জানায়, বিদেশে পড়াশোনা করতে যেতে না পারায় অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে আসাদ। এলাকায় বোমাবাজি দেখে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে সে। তা ছাড়া তাঁর বাবার গ্যাংয়ের সদস্যদের কাছে অস্ত্র দেখে নিজেকেও সেই দলে সামিল করার চেষ্টা করেন। তবে আসাদের প্রথম পছন্দ ছিল বোমাবাজিতে হাত পাকানো। কিন্তু আতিক তা চাইত না। তাই আসাদকে সাবধানও করেছিল আতিক। বোমাবাজি করতে না পারায় পিস্তল চালানো শুরু করেন। ধীরে ধীরে শার্পশুটার হয়ে ওঠেন।
আতিক জেলে যাওয়ার পর থেকেই পরিবারের ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন আসাদ। তবে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নিতে হলে আতিকের স্ত্রী শায়িস্তা পরভিনই তা ঠিক করতেন। উমেশ পালের হত্যার ঘটনার পর থেকে শায়িস্তাও এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে খবর।