বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রতিদিনই নতুন নতুম অভিযুক্তের নাম যুক্ত হচ্ছে ইডি (ED) সিবিআই (CBI)-র তালিকায়। এবার আরও এক তৃণমূল নেতাকে (Trinamool Leader) নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করল ইডি। তাঁর নাম শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনুও কুন্তল ঘোষের মতোই বলাগড়ের বাসিন্দা। জেনে নিন কীভাবে রাজনীতিতে পসার জমিয়েছিলেন শান্তনু।
শান্তনুর বাবা ছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের একজন সাধারণ কর্মী। সাধারণ এক সরকারি কর্মচারীর ছেলের জীবন যেমন কাটা উচিত তেমনই ছিল শান্তনুর জীবন। জিরাটের বিজয় কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। তারপর জিরাট বাসস্ট্যান্ডে এনজি ঘোষ মার্কেটে একটি কসমেটিক্স ও মোবাইল রিচার্জের দোকান খোলেন ২০০৫-০৬ সাল নাগাদ। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে হঠাৎই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। বাবা তখনও কর্মরত ছিলেন। সেই চাকরিটাই পেয়ে যান শান্তনু। বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই হঠাৎ করে রাজনীতির আকাশে ধূমকেতুর মত উত্থান হয় তাঁর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ব্লক স্তরে।
একটা সময়ে যুব তৃণমূলের পাশাপাশি যুবা নামের অপর একটি সংগঠন চালু করে শাসকদল। সেই সময়ে যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর যুবার সভাপতি করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই সময়ই যুবা তৃণমূলের জেলা সভাপতি হন শান্তনু। তারপর যুব আর যুবা যখন মিশে গেল, তখন শান্তনু হন যুব তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতি।
এর পর থেকেই এলাকায় তাঁর দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। বহু জায়গায় মূল তৃণমূলের সঙ্গে যুবর সংঘাত ছিল হুগলির রাজনীতির সাধারণ ঘটনা। শান্তনুর বাহিনী তটস্থ করে রেখেছিল মূল পার্টিকে। এ নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যেও ক্ষোভ জমা হতে থাকে। হুগলি তৃণমূলের এক নেতা বলেন, সেই সময়ে শান্তনুর এতটাই দাপট ছিল যে, কেউ তাঁকে ঘাঁটানোর সাহস পর্যন্ত পেত না।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তারকেশ্বর থেকে জেলা পরিষদের সদস্য হন শান্তনু। দায়িত্ব পান জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের। জিরাট হাইওয়ের ধারে ‘দ্য স্পুন’ নামের একটি ধাবাও খোলেন তিনি। বর্তমানে চন্দননগরের বড়বাজারে থাকতেন। বড়তলার সায়নী আবাসনেও ফ্ল্যাট রয়েছে শান্তনুর। তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
‘দলের মধ্যেই ব্যাপক টাকার লেনদেন…’, মদনের বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়