বাংলাহান্ট ডেস্ক : পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার (Egra) খাদিকুল গ্রাম কেঁপে উঠেছে বাজি কারখানায় একাধিক বিস্ফোরণে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে উড়ে গিয়েছে বাজি কারখানার ছাদ। কয়েক মিটার দূরের পুকুরে গিয়ে পড়েছে মৃতদেহ।কারখানার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মৃতদের দেহাবশেষ।
এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৯ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন মহিলা। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি ওড়িশা লাগোয়া। কিছুদিন আগেই ওই বাড়ির বাজি কারখানায় পুলিশ রেইড করে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই ওই বাড়িতে চলছিল বাজি তৈরির কাজ। আজ বিস্ফোরণের পর পুলিশ আসলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে লাঠি নিয়ে তাড়া করে। সব মিলিয়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
এমনকি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর করার অভিযোগ উঠছে। অবস্থা বেগতিক দেখে এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুকুরের মধ্যে মৃতদেহ থাকার আশঙ্কায় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় ১৭ জনের আহত হওয়ার খবর উঠে আসছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন চারজন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই বাজি কারখানার লাগোয়া যে পুকুর আছে সেখানে আরো মৃতদেহ থাকতে পারে।
এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করে বিজেপির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের পক্ষ থেকেও এনআইএ তদন্তের দাবি উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। এরই সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কোনো আপত্তি নেই এনআইএ তদন্ত হলে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বম্ব স্কোয়াড। জানা গিয়েছে, এই কারখানায় অনেক মহিলা কাজ করতেন। তাদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত দুই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। উদ্ধার হওয়া দুই মহিলার মৃতদেহ এখনো পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি। RAF, কমব্যাট ফোর্স মোতায়ন রয়েছে এলাকায়।