বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডের প্রসঙ্গ উঠবে অথচ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের (subhashree ganguly) নাম আসবে না এমনটা হতে পারে না। টলিপাড়ার পুরনো অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন তিনি। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা ছবির জগতে রয়েছেন শুভশ্রী। দেব, জিৎ, সোহম চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়দের মতো প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। আজ তিনি রাজ-ঘরণী, ইউভানের মা। টলিপাড়ার হেভিওয়েট নামগুলির মধ্যে অন্যতম।
কিন্তু এই উচ্চতায় পৌঁছাতে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে শুভশ্রী। আজ তাঁর যে নামডাক তা একদিনে আসেনি। বছরের পর বছর টলিপাড়ার চক্কর কাটতে কাটতে মিলেছে অভিনেত্রীর তকমা। অনেকেই জানেন, শুভশ্রী বর্ধমানের মেয়ে। কর্মসূত্রে পরে কলকাতায় থাকতে শুরু করেন তিনি।
অভিনেত্রীই হতে চেয়েছিলেন শুভশ্রী। চেষ্টাও করছিলেন সেভাবে। বর্ধমান থেকে কলকাতা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতেন তিনি এক সময়। এই স্ট্রাগলে পরিবারের আর কাউকে পাশে পান না পান, শুভশ্রী মা ও দিদির সমর্থন পেয়েছিলেন। বাকিরা কেউই তখন তাঁর অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নটাকে ভাল ভাবে নিতে পারেননি।
২০০৬ সালে ‘আনন্দলোক নায়িকার খোঁজে’ প্রতিযোগিতাতে সেরার শিরোপা উঠেছিল শুভশ্রীর মাথায়। তারও এক বছর পর প্রথম অভিনয়ে পা রাখেন তিনি। জিতের বোনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন শুভশ্রী। ছবির নাম ছিল ‘পিতৃভূমি’। ২০০৮ সালে ‘বাজিমাত’ ছবিতে সোহমের বিপরীতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এই ছবির জন্য সেরা নবাগতা অভিনেত্রীর পুরস্কারও পেয়েছিলেন শুভশ্রী।
ওই বছরই মুক্তি পায় তাঁর আরো একটি ছবি। তবে সেটা বাংলা ছবিতে নয়, ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে। উল্লেখ্য, শুভশ্রীর প্রথম ছবি ছিল ‘মাতে লা লভ হেলারে’। তবে ২০০৮ এ মুক্তি পায় সেই ছবি। ততক্ষণে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক করে ফেলেছেন তিনি।
ধীরে ধীরে পরিচিতি পেতে শুরু করেন শুভশ্রী। একে একে অভিনয় করেন পরান যায় জ্বলিয়া রে, চ্যালেঞ্জ, খোকাবাবু, , বস এর মতো ছবিতে। অভিনয় দক্ষতার উপরেও জোর দিতে থাকেন শুভশ্রী। ফল ‘পরিণীতা’র মতো ছবি। এখন সংসার আর কেরিয়ার দুটোই সামলাচ্ছেন তিনি। আগামীতে তাঁর হাবজি গাবজি, ধর্মযুদ্ধ, ডঃ বক্সীর মতো ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।