উদ্দেশ্যে শুধু ‘ডাক্তারি পড়া’! প্রতি বছর ভারত থেকে শয়ে শয়ে পড়ুয়া ছোটেন বাংলাদেশে, কিন্তু কেন ?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশে (Bangladesh) সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে গোটা দেশ বিক্ষোভের আঁচে জ্বলছে। পড়ুয়াদের এই আন্দোলন সহিংসতার রূপ ধারণ করেছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটেছে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে। বাংলাদেশের অবস্থা জটিল হতেই ওদেশ থেকে প্রচুর মেডিকেল পড়ুয়া ফিরছেন ভারতে (India)।

ভারত (India) থেকে এত পড়ুয়া মেডিক্যাল পড়তে কেন যান বাংলাদেশ (Bangladesh)?

ভারতে (India) রয়েছে একাধিক মেডিকেল কলেজ। তাহলে তা সত্ত্বেও কেন ভারতীয় পড়ুয়ারা বাংলাদেশে যান মেডিকেল পড়তে? ভারতের (India) বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করতে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তবে বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ এর অর্ধেক।

আরোও পড়ুন : বাজেটে বিরাট চমক! একগুচ্ছ জিনিসের দাম কমল, মুখে হাসি ফুটল মধ্যবিত্তের!

তাই অনেক ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন যারা বাংলাদেশে এমবিবিএস (Bachelor of Medicine and Bachelor of Surgery) পড়তে যান। বাংলাদেশে মেডিক্যাল কলেজ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের একটি হিসাব বলছে,  সেদেশে ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৪৩৫০ টি ও ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬৪৮৯টি এমবিবিএস আসন রয়েছে।

আরোও পড়ুন : অবিশ্বাস্য ‘লাইট ওয়েট’, দুর্দান্ত ফিচার্স! ‘দামে কম মানে ভালো’ এই স্কুটারটি বাড়ি আনুন আজই

তবে বিদেশ থেকে এমবিবিএস পাশ করে আসলেই এদেশে প্র্যাকটিস শুরু করা যায় না। মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ‘এগ্‌জিট টেস্ট’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মেলে ডাক্তারি করার অনুমতি। তবে আশ্চর্যের কথা এই যে প্রতিবছর এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার ২৫ শতাংশও পেরোচ্ছে না। তাই বিদেশ থেকে এমবিবিএস পাশ করে আসলেও ভারতে প্র্যাকটিসে সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।

medical officer recruitment

ভারতের (India) অনেক প্রান্তের পড়ুয়ারা পড়াশোনা করেন বাংলাদেশে। মেডিকেল ছাড়াও অন্যান্য বিভাগে অনেক ভারতীয় ছাত্র পড়াশোনা করেন সে দেশে। পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার জন্য এপার বাংলা থেকে বহু পড়ুয়া ওপার বাংলায় যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্র ও পুলিশ সংঘর্ষ চরম মাত্রা ধারণ করলে ভারতীয় পড়ুয়ারা (Students) ধীরে ধীরে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর