বাংলা হান্ট ডেস্ক : পায়ের তলায় সর্ষে বাঙালির কাছে পাহাড় (Hill Station) মানেই দার্জিলিং (Darjeeling)। বছরের বিভিন্ন সময় পর্যটকরা উত্তরবঙ্গের হাওয়া খেয়ে আসেন। প্রতিটা ঋতুতে এক এক রূপ ধারণ করে এই বরফে ঢাকা পাহাড়। আর তাই তো কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই বৈচিত্র্যময় রূপের মুগ্ধতা অনুধাবন করতে বাঙালি ভিড় জমায় উত্তরবঙ্গে। বিশেষ করে এই শীতের সময়টয় কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchanjangha) রূপ লালিত্য এক আলাদাই আকর্ষণ সৃষ্টি করে।
এই সময়টা গোটা শৈল শহর সেজে ওঠে নিজের মত করে। চারিদিকে তুষারপাত আর সাদা পেঁজা তুলোর মত বরফ। এই মুহুর্ত একবার মিস করলে অপেক্ষা করতে হবে আরও একটা বছর। আর শৈলরাজের এই সৌন্দর্যকে উদযাপন করার জন্য পাহাড়ের মানুষও মেতে ওঠে ঘুম উৎসবে (Ghum Utsav)। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই উৎসব আয়োজিত হতে চলেছে ঘুম শহরে।
যদিও অন্যান্য বছর ঘুম উৎসবের আয়োজন অনেক আগেই হয়ে থাকে, তবে এবার দূর্গাপুজো এবং কালীপুজো অনেকটা দেরিতে হওয়ায় উৎসবও দেরিতেই শুরু হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য আয়োজিত হতে চলেছে ঘুম উৎসব। গোটা বিষয়টা তদারকি করে থাকে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এবং স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে। মূলত পর্যটন শিল্পকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্যই এই প্রয়াস।
আরও পড়ুন : ‘অনুরাগের ছোঁয়া-জগদ্ধাত্রী’কে টেক্কা দিয়ে সেরার সেরা ‘কার কাছে কই মনের কথা’! মানালির গলায় ভরপুর উচ্ছ্বাস
তাই যারা পাহাড়ের বিভিন্ন রূপের মুগ্ধতা অনুধাবন করতে উৎসাহী তারা একবার হলেও এই সময়টা দার্জিলিং থেকে অবশ্যই ঘুরে আসুন। কারণ এই ঘুম উৎসব দার্জিলিং যাওয়ার আনন্দকে আরও দ্বিগুণ করে দেয়। যে কারণে বছরের অন্যান সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ভিড় হয় এই সময়টায়। বাংলার তো বটেই, পাশাপাশি আশেপাশের রাজ্য থেকেও প্রচুর পর্যটক দেখতে আসে ঘুম উৎসব।
আরও পড়ুন : ‘বাবা হিসেবে…’, জমে গেল অ্যাকশনে ভরপুর ‘মানুষ’র ট্রেলার, নয়া চমক নিয়ে হাজির জিৎ-জিতু
তবে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, এই ঘুম উৎসবকে ঘিরে সবার এত উৎসাহ কেন? আসলে এই উৎসবে মূলত দার্জিলিং-র ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়। স্থানীয়দের প্রতিভা, হস্তশিল্প, স্থানীয় খাবার দাবার, ইত্যাদিকে তুলে ধরা হয়। তাই অন্যান্য সময় দার্জিলিং গেলে পাহাড়ের এই রূপ দেখতে না-ও পেতে পারেন। এই উৎসব চলে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত্রি ৭:৩০ পর্যন্ত। সপ্তাহান্তে থাকে বিশেষ অনুষ্ঠান। এবং অনুষ্ঠানের শেষ দিনও বিশেষ আয়োজন থাকবে বলে খবর।