বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গরু, গৃহপালিত পশুদের মধ্যে গরু মানুষের প্রভূত উপকারী বন্ধু। গরুর দুধ থেকে শুরু করে গোবর (Dung) সবকিছুই মানুষ ব্যবহার করতে পারে। গরুর দুধ খুবই পুষ্টিকর একটি পানীয়। এই গরুর বিষয়ে ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) সরকার নিতে চলেছে এক বড় পদক্ষেপ। এবার থেকে গোবর কিনবে সরকার।
গোবর কিনবে সরকার
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ও কমিটির চেয়ারম্যান রবীন্দ্র চৌবে শনিবার ঘোষণা করেন, ‘আমরা প্রতি কেজি দেড় টাকায় গোবর কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মন্ত্রিসভায় এটি জানানো হবে। আমরা সমস্ত রকম প্রস্তুতি করে রেখেছি এবং সেইমত ২১ শে জুলাই গ্রামে গ্রামে হরিলি উৎসবের দিন থেকেই গোবর কেনা শুরু করা হবে। উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষকদের একটি নির্দিষ্ট মূল্যে দেওয়া হবে।’
মজবুত হবে অর্থনীতি
এই গোবর কেনার মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্র চৌবে জানিয়েছেন, গোথান কমিটি বা গ্রামে গঠিত মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি থেকে গোবর সংগ্রহ করবে। এর জন্য তাঁদের একটি বিশেষ কার্ডের ব্যবস্থাও করা হবে। যেখানে তারা প্রতিদিনের হিসাব লিখে রাখবে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ উপকমিটি প্রতি পনেরো দিন অন্তর অন্তর কৃষক ও পশুসম্পদ কৃষকদের কাছ থেকে এই সম্পর্কিত হিসাব নিকাশ করবে। নগর প্রশাসন বিভাগ এবং বন অঞ্চলে বন পরিচালনা বিভাগ দ্বারা এই কাজ পরিচালিত হবে।
কত সংখ্যায় রয়েছে এই গবাদি পশু?
কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার গোথানের মাধ্যমে গোবর কেনা এবং সার উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যার ফলে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ কর্মসংস্থান পাবে। ২০১৯ সালে ভারত সরকারের প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ অধিদপ্তরের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ছত্তিশগড়ে প্রায় ১১১৫৮৬৭৬ টি গরু-মহিষ রয়েছে, যা প্রতিদিন গড়ে ১০ কেজি করে গোবর দেয়।
এতদিন যাবত এই গরু, গোবর, গো মূত্র ইত্যাদি বিষয় বিজেপির উদ্দ্যেশ্য ছিল। তবে এবার এই কাজে কংগ্রেস পার্টি মনোনিবেশ করেছে। সরকারী হিসাব অনুযায়ী এখনও অবধি, ২২০০ টি গোথান নির্মিত হয়েছে এবং ২৮০০ টি গোথান খুব শীঘ্রই প্রস্তুত করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অনেক মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনই সরকারের অর্থনৈতিক উন্নতিও হবে।