বাংলাহান্ট ডেস্ক : রহস্যজনকভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) ভল্ট থেকে উধাও হয়ে গেল ৮৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৫০০ টাকার নোট। নিঃসন্দেহে এর বড় প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। এত বিশাল পরিমাণ টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ভল্টের সুরক্ষা নিয়ে।
অ্যাক্টিভিস্ট মনোরঞ্জন রায়ের তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) অধীনে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, নাসিকের ছাপাখানায় ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭৫.৪৫০ মিলিয়ন মূল্যের ৫০০ টাকার নতুন নোট ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু রেকর্ড অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে এসে পৌঁছেছে ৩৪৫.০০০ মিলিয়ন।
অতীতে ১৯৯৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভল্টে জমা অতিরিক্ত ৩৩৯.৯৫ মিলিয়ন নোট নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল আরবিআই, যেটি ছিল সরকারি ছাপাখানায় ছাপানো নোটের থেকে বেশি পরিমাণ নোট। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি ধরা পড়ছে। দেখা যাচ্ছে ৫০০ টাকার ৮,৮১০.৬৫ মিলিয়ন নোট ছাপিয়েছে সরকারি ট্যাঁকশাল।
কিন্তু আরবিআই এর কাছে এসে পৌঁছেছে মাত্র ৭,২৬০ মিলিয়ন। অর্থাৎ মাঝখান থেকে সম্পূর্ণ উধাও হয়ে গিয়েছে ৮৮,০৩২.৫ কোটি টাকা।১,৭৬০.৬৫ মিলিয়ন ৫০০ টাকার নোট কোথায় উধাও হয়ে গেল সেই বিষয়ে কেউ কিচ্ছু জানেন না। কীভাবে এত পরিমান টাকা উধাও হয়ে গেল সেই বিষয়ে কোনও রকম কথা বলতে চাননি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুখপাত্র।
অ্যাক্টিভিস্ট মনোরঞ্জন রায়ের আরটিআই এর ফলে এইসব তথ্য সামনে এসেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সূত্রের খবর, যে সময়ের মধ্যে এই নোটগুলির হিসাব মিলছে না সেই সময় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন রঘুরাম রাজন। অ্যাক্টিভিস্ট মনোরঞ্জন রায় এই ব্যাপারে বলেছেন, এরকমভাবে টাকা উধাও হয়ে যাওয়া কোনও ছোটখাটো জিনিস নয়।
এই ঘটনার ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে যে গভীর প্রভাব পড়বে সেই বিষয়টি সম্পর্কে শীর্ষ ব্যাংক উদাসীন। এই ঘটনা প্রশ্ন তুলছে ভারতীয় অর্থনীতির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। সেন্ট্রাল ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স ব্যুরো ও ইডিকে চিঠি দিয়ে সরকারি তিনটি ট্যাঁকশালে ছাপা নোটের গরমিলের বিষয় তদন্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছি।