কেষ্টর হিসাবরক্ষক থেকে বীরভূমের প্রভাবশালী! মণীশের উত্থান হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বুধবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালত থেকে যখন বেরিয়ে আসছেন তখন চিকচিক করছে তাঁর দু’চোখের কোন। বেরিয়ে স্ত্রীকে দেখেই আর বাঁধ মানলো না। অঝোরে কাঁদতে ফেললেন মণীশ কোঠারি। চোখ ভিজে উঠল তাঁর স্ত্রীরও। অনামি সেই ব্যক্তি হঠাৎই রাজ্য রাজনীতি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। তিনি গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অভিযুক্ত এবং ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) হিসাবরক্ষক। সম্ভবত অনুব্রতর পাপের সবচেয়ে বড় সাক্ষীও। গরু পাচারের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)।

বীরভূমে ‘অনুব্রতর ছত্রছায়ায় রাজত্ব চালাতেন তাঁর ঘনিষ্ঠরাও। অনুব্রতের সঙ্গে মণীশের বিশেষ ঘনিষ্ঠতা থাকায় যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির খতিয়ান থাকত তাঁরই হাতে। শ্রীনিকেতন রোডে মণীশের পারিবারিক বাড়ি। সেখানেই তাঁর জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠা। রাস্তার ধারেই একটি মনিহারি দোকান ছিল তাঁদের। বাবার মৃত্যুর পর সেই দোকান সামলাতেন মণীশের দাদা।

মণীশের অবশ্য বাবার ব্যবসার প্রতি কোনও দিনই টান ছিল না। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি সিএ-র পড়াশোনা শেষ করেন। কাজ শুরু করেন বীরভূমেই। চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিদ্যুৎ মজুমদারের সহকারী হিসাবে। মণীশের আগে বিদ্যুৎই অনুব্রতর যাবতীয় সম্পত্তির হিসাবরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। বিদ্যুতের মাধ্যমেই ২০১১ নাগাদ অনুব্রতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মণীশ।

manish kothari, anubrata mondal,

২০১৫ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ মারা যান। এরপরই অনুব্রতের টাকাপয়সার হিসাব রাখার যাবতীয় দায়িত্ব এসে পড়ে মণীশের উপর। ২০১৬ সাল থেকেই বীরভূমের ‘প্রভাবশালী’দের তালিকায় নাম যুক্ত হয়ে যায়। কেষ্টর প্রধান হিসাবরক্ষক হওয়ার পর থেকেই একে একে সম্পত্তি বাড়তে থাকে মণীশের। প্রোমোটারি এবং হোটেল ব্যবসাও শুরু করেন। বাড়তে থাকে বা়ড়ি-গাড়ির সংখ্যাও।

বোলপুরের রূপপুরেও ন’বিঘা জমি রয়েছে মণীশের। ওই জমি নাকি জোর করে হাতানো। অনুব্রতের প্রভাব খাটিয়ে মণীশ এই জমি নিজের নামে করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে শুধু অনুব্রত নয়, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, দেহরক্ষী সহগল হোসেন, কেষ্ট ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী মলয় পিট, গরু পা

Sudipto

সম্পর্কিত খবর