বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে ভাঙা হচ্ছে টালা ব্রিজ । পূর্ব ঘোষণা মতোই ৩১ জানুয়ারি অর্থাত্ শুক্রবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে টালা ব্রিজ । যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার পাশাপাশি কোনও পথচারীরাও ব্যবহার করতে পারবেন না এই ব্রিজ ।
কিছু দিন আগে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানা যায় টালা ব্রিজের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক । রেলের সঙ্গে নবান্নর তারপর থেকে দফায় দফায় আলোচনা হয় টালা ব্রিজ ভাঙার জন্য । জীর্ণ টালা ব্রিজ ভাঙা নিয়ে রেলের সঙ্গে নবান্নের সমঝোতা না হওয়ায় গত বছর আর ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়নি। এরপর নতুন ব্রিজের নকসা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতানৈক্য চলছিল নবান্নের, সেই কারণেই টালা ব্রিজ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না এতদিন। শেষ পর্যন্ত জানুয়ারি মাসের প্রথমেই সব সমস্যা মিটে গিয়ে নবান্নের সিদ্ধান্তে মান্যতা দিয়েছিল রেল। তারপরেই ঠিক হয়েছিল জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহতেই টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলা হবে। অন্য রুটে ব্যারাকপুর থেকে কলকাতাগামী বাস চলাচল করবে।
কিন্তু সে পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়, ফের পিছল টালা ব্রিজ ভাঙার দিন। লেভের ক্রসিং তৈরি না জেরে এই মুহুর্তে ভাঙা হচ্ছে না জীর্ণ টালা ব্রিজ। ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে বন্ধ থাকবে ফ্লাইওভার। পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ব্রিজ ভাঙার কাজ। সূত্রের খবর, ভাঙার কাজ শুরু হবে শ্যামবাজারের দিক থেকে।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের অংশটুকু ভাঙার জন্য ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পূর্ত দফতর। সেইসঙ্গে রেলের অংশ ভাঙার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। পুরো ব্রিজ ভেঙে ফেলতে সময় লাগবে দু থেকে আড়াই মাস। নবান্ন সূত্রের খবর, এপ্রিলের মাঝামাঝি নতুন ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হবে। ৮০০ মিটার দীর্ঘ টালা ব্রিজ ভাঙতে খরচ হবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, চিত্পুর লকগেট ব্রিজে এবার ২৪ ঘন্টাই একমুখী যান চলাচল থাকবে । অর্থাত্ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে বিটি রোডের দিকে শুধু গাড়ি যেতে পারবে । বিটি রোড থেকে আসা বাসগুলি মূলত বেলগাছিয়া ব্রিজ ধরবে । সেখান থেকে শ্যামবাজার হয়ে খান্নার দিকে ঘুরে উল্টোডাঙ্গা হয়ে যেতে হবে ।