বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শেষ পর্যায়ে ফুসফুসে আঘাত হানছে এই মারণরোগ। যার ফলে আর কোন কিছুই করার থাকছে না চিকিৎসকদের পক্ষেও। প্রাণঘাতী রোগ করোনা ভাইরাস (COVID-19) বিশ্বের প্রায় ২০০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। এবং প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার কথা ভেবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহু দেশ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এই রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। কিন্তু এই রোগের ক্ষেত্রে রোগীরা প্রাথমিকভাবে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা গলা ও শরীরে ব্যথা এইসব উপসর্গ নিয়েই হাসপাতালে আসেন। তারপর পরীক্ষার পর জানা যার তিনি করোনায় আক্রান্ত কিনা। একদম শেষের দিকে আঘাত হানে ফুসফুসে। এরপরই দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৮০ শতাংশ করোনা আকারন্ত মানুষের শরীরে এই রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায়। তারমধ্যে আবার অনেকের শরীরে কোন লক্ষণই প্রকাশ পায় না। এর মধ্যে সংকটপূর্ণ অবস্থা হতে পারে ছয় শতাংশ রোগীর, যাদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি হ্রাস পায়।
মানুষের শরীরের ফুসফুসকে এই রোগ বেশি আক্রমণ করে। তাই সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বক্ষ সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. কেইথ মর্টম্যান, করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির ফুসফুসের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন। এই থ্রিডি ভিডিয়োতে তিনি দেখিয়েছেন, করোনা ভাইরাস কিভাবে একজন সুস্থ মানুষের শরীরে বাসা বেঁধে তাঁর ফুসফুসের অবস্থা খারাপ করে দেয়।
বছর ৫০ শের বেশি এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই ব্যক্তির ফুসফুসের ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে বিভিন্ন ছবি তোলা হয়। চিকিৎসকরা এক প্রতিবেদনে বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেও ওই ব্যক্তির ফুসফুস সুস্থ ছিল এবং সঠিকভাবে কাজ করত। সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি ও একটু শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দেওয়ায়, তাঁকে করোনা আক্রান্ত পরীক্ষা করে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়।
এরপরই ধীরে ধীরে তাঁর ফুসফুস আক্রান্ত হতে শুরু করে। এই অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এরপর ডা. মর্টম্যান দেখান, কিভাবে করোনাভাইরাস তাঁর ফুসফুসের বিরাট অংশজুড়ে বিস্তার করেছে এবং তাঁর গোলাপী বর্ণের ফুসফুসকে কিভাবে সবুজঘাসের মতো দেখতে টিস্যু পুরোপুরি ধ্বংস করছে।