বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস আর লকডাউনের কারণে অনেক দোকান আর কারখানায় তালা ঝুলেছে। আর এই কারণে অনেকেই ফল, সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে এরকমই একটা মামলা সামনে এসেছে। এক মহিলা সবজি বিক্রেতার ভিডিও (Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) দ্রুত গতিতে ভাইরাল (Viral) হচ্ছে। ওই মহিলা ফল বিক্রি করার সময় ফটাফট ইংরেজি বলে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, করোনার কারণে বারবার জারি লকডাউনে বিরক্ত প্রকাশ করে উনি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওনার কাছে যখন স্থানীয়রা পরিচয় জিজ্ঞসা করে, তখন ওই মহিলা বলেন, তিনি দেবী অহিল্যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মহিলার ভিডিও দারুন ভাইরাল হচ্ছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, এক মহিলা করোনার মধ্যে প্রশাসন দ্বারা লাগু বারবার লকডাউন নিয়ে বিরক্তি জাহির করছেন। ওই মহিলা জানান, তিনি আর তাঁর বন্ধুরা এই লকডাউনে ফল আর সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি জানান, করোনার কারণে বাজারে ভিড় না থাকার কারণে বিক্রি নেই। আর এরমধ্যে পুরসভা অড-ইভেন চালু করে মানুষের জীবন আর দুর্বিষহ করে তুলেছে।
মহিলা বলেন, এখন আমি কি করব সেটা প্রশাসনই বলেদিক। এরপর তিনি বলেন, আমার বাবা, দাদু আর তাঁর বাবা বাজারে সবজি বিক্রি করত। তিনি জানান ওনার ৬ থেকে ৭ প্রজন্ম বাজারে সবজি বিক্রি করার কাজ করেছে। আর এই দুঃসময়ে সেও এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।
নিজের যোগ্যতা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নে মহিলা বলেন, তিনি পদার্থবিদ্যায় মাস্টার অফ সায়েন্স করেছেন আর দেবী অহিল্যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পদার্থবিদ্যায় PhD করেছেন। ওনাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি চাকরি কেন করেন নি? তখন তিনি বলে বেসরকারি চাকরিতে ওনার বিশ্বাস নেই। উনি বলেন, প্রশ্ন হল আমাকে কাজ কে দেবে? উনি বলেন, মুসলিমরা করোনা ছড়াচ্ছে বলে চারিদিকে গুজব রটে গেছে। আমিও মুসলিম, আমার নাম রায়সা আন্সারি। তাই কোন কলেজ আর কোন গবেষণা সংস্থান আমাকে চাকরি দিতে চাইছে না।
https://www.instagram.com/tv/CC-GnYlF-Q_/?utm_source=ig_embed
যদিও প্রশাসনিক আধিকারিকরা রাইসার দাবি সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করেছে। আধিকারিকরা জানান, সরকারি চাকরি যোগ্যতার ভিত্তিতে পাওয়া যায়। ধর্ম আর জাতি দেখে সরকারি নাকরি দেওয়া হয় না।