মাত্র এতদিনের পেট্রোল-ডিজেল বেঁচে পাকিস্তানের কাছে! মজুতদারদের সতর্ক করলেন মন্ত্রী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর্থিক সংকট (Economic Crisis) কি পাকিস্তানকে (Pakistan) ধীরে ধীরে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) দিকেই নিয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্নই এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভারতের পড়শি দেশটিকে। পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি ‘অভাবনীয়’ বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এদিকে আর্থিক সংকটের মধ্যেই জ্বালানি তেলের ভাণ্ডারেও টান দেখা দিয়েছে বলে তেল সরবরাহকারি সংস্থাগুলি জানিয়েছে।

পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী মুসাদ্দিক মালি বলেছেন, পাকিস্তানে আর ২০ দিনের মতো পেট্রোল এবং ২৯ দিনের মতো ডিজেল মজুত রয়েছে। তারপরই হয়ত অন্ধকারে ডুবে যাবে গোটা দেশ। বিশেষ সূত্রে খবর, কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানের ‘অয়েল কম্পানিজ অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের’ পক্ষ একটি চিঠি যায় সেদেশের ‘অয়েল অ্যা়্ন্ড গ্যাস রেগুলেটারি অথরিটি অ্যান্ড এনার্জি মিনিস্ট্রে’র কাছে। দেশের তেল সংক্রান্ত মন্ত্রককে সেদেশের তেল সংস্থাগুলির তরফে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়, পাকিস্তানের রুপির পতন তথা বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি সেদেশের ব্যবসায় কতটা ক্ষতি করছে তার খতিয়ান।

pakistan electricity

গত ২৭ জানুয়ারি এক লাফে কমেছে পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্য। ঝড়ের মতো কমেছে তার দর। প্রায় বেসামাল অবস্থা সেদেশের অর্থনীতির। পরিস্থিতির সামাল দিতে এগিয়ে এসেছে আইএমএফও। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের পক্ষ থেকে দেওয়া শর্ত পাকিস্তানকে আরও সনস্যায় ফেলে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের ক্রায়োজেনিক রিফাইনারিকে বন্ধ রাখতে হয়েছে অপরিশোধিত তেলের অভাবে। পাকিস্তানে ক্রমাগত মুদ্রার দাম পড়ে যেতেই  আমদানিকৃত জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। যা সরাসরি গিয়ে ধাক্কা দিয়েছে সেদেশের ব্যবসাকে। যার জেরে সেদেশের জ্বালানি তেলের ভাঁড়ারে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

বিদ্যুৎ সংকট, ভেঙে পড়া অর্থনীতি আরও বেশি করে পাকিস্তানের সমস্যা বাড়িয়েছে। এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে জ্বালানি সংকট। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তেল কম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে সেদেশের আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।তবে জ্বালানি সংকট অনেক কৃত্রিম ভাবে তৈরি বলেই মনে করছে সেদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর