২৭ কোটির লোন শোধ না করেই পলাতক তৃণমূল নেতা, অনাদায়ী ঋণ মাথায় নিয়ে বন্ধ হল ব্যাঙ্ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মানুষের বিপদের স্থল ব্যাঙ্ক (bank)। অল্প অল্প করে সঞ্চিত অর্থ মানুষ ব্যাঙ্কে রাখেন ভবিষ্যতে কাজে লাগাবার জন্য। সেইসঙ্গে ব্যাঙ্কে রাখা অর্থ নির্দিষ্ট সময় পর কিছুটা পরিমাণ বৃদ্ধিও পায়। কিন্তু সেই ভরসার স্থল ব্যাঙ্কেই হঠাৎ করেই লাগিয়ে দেওয়া হল তালা। চম্পট দিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

নভেম্ভরের শেষ সপ্তাহ থেকেই বন্ধ হয়ে গেল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আয়েশবাগ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ব্যাঙ্ক। প্রায় ৫ হাজার জন গ্রাহক রয়েছেন এই ব্যাঙ্কের। গ্রাহকদের প্রাপ্য টাকা ফেরত না দিয়ে আচমকাই একদিন নোটিশ টানিয়ে ব্যাঙ্কে তালা লাগিয়ে চম্পট দেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। মাথায় হাত পড়ে গ্রাহকদের। ভরসার জায়গাতেই নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেতার নামে। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার।

mvvvbvbv

দুর্ভোগের শিকার হয়ে এক গ্রাহক জানিয়েছেন, ‘কষ্ট করে আমরা ওখানে টাকাটা জমিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের ম্যাচিউরিটি টাকাও ফেরত দেয়নি, পরে নেওয়ার জন্য বলেছিল। সেখানে হঠাৎ করেই ম্যানেজার, কোর কমিটির লোক কারো পাত্তা নেই। আমরা দীর্ঘতর আন্দোলনে যাব, রাস্তা অবরোধ করব। আর আমাদের টাকা যারা মেরেছেন তাদের সম্পত্তি আমরা সবাই মিলে নিয়ে এই টাকা নেব’।

জেলা সূত্রে খবর, অসীম ভট্ট নামে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা কয়েক দফায় ওই ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২৭ কোটি টাকা ধার নিয়ে একটা টাকাও শোধ করেননি। আবার অন্যদিকে জেলা সমবায় থেকে দফায় দফায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ২৭.৫ কোটি টাকা  ঋণ নিয়ে শোধ দেয়নি। অবশেষে বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণ মাথায় নিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

hvv vbvbkvbk

এদিকে বিপাকে পড়া গ্রাহকরা মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হয়েছেন প্রতিকারের আশায়। অন্যদিকে অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতার কোন খোঁজ নেই। তাঁর বাড়িতে তালা লাগানো এবং তাঁর ফোনও বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তবে গ্রাহকরা নিজেদের জমানো অর্থ ফেরত পাওয়ার আশায় আবারও ব্যাঙ্ক খোলার এবং টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর