বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই মেঘালয়ে শক্তি বাড়িয়ে বিরোধী দলের তকমা হাসিল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস শিবিরের তাবড় নেতাদের দলে টেনে পোক্ত করা হয়েছিল সংগঠন। কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই। এবার ঘাসফুল শিবিরে বড়সড় ভাঙনের পূর্বাভাস মেঘের রাজ্যে। সূত্রের খবর, সে রাজ্যের পাঁচ তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির। এহেন যোগসাজশের খবরে বিধায়কদের জলত্যাগের জল্পনা চুড়ান্ত আকার নিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই আগেভাগেই মাঠে নামলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ের তৃণমূলের সভাপতি চার্লস পিংরোপ এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমাকে কলকাতায় তলব করে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মেঘালয়ে তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী বছর মার্চ মাস নাগাদ মেঘালয়ের ৬০ টি আসনের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ভাঙন ধরতে শুরু করেছে তৃণমূলের অন্দরে। দলীয় সূত্রেই খবর,সংগঠনের হয়ে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না সেরাজ্যের তৃণমূল নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে ৩ মে মেঘালয় সফরের কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তা বাতিল করেন তিনি। বদলে কলকাতাতেই জরুরি তলব করা হল চার্লস পিংরোপ এবং মুকুল সাংমাকে। উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে বলতে গেলে মেঘালয়েই সবচেয়ে শক্তিশালী তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সেখানকার সংগঠনে ভাঙন দেখা দিলে যে ধ্বসে পড়বে গোটা উত্তর পূর্ব জয়ের স্বপ্ন তা বলাই বাহুল্য। সেই কারণেই কার্যতই ঝুঁকি নিতে নারাজ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, গতবছর নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ কলকাতায় এসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিয়ে দলে যোগ দেন সাংমা সহ অন্যান্য বিধায়করা। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন তাঁরা। সেই সময় কংগ্রেসের ১৮ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জনই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ফলে মেঘালয়ের বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের তকমা অয়ায় তৃণমূল। কিন্তু এরই মধ্যে পাঁচ বিধায়কের দল ত্যাগের গুঞ্জনে কান পাতা দায় সে রাজ্যে।
বর্তমানে তৃণমূলের পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। সেই কারণেই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে সংগঠন জোরালো করতে চায় তৃণমূল। সম্প্রতি মেঘালয় সফরে গিয়েছিলেন মেঘালয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ তথা বাংলার মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মেঘালয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও সারেন তিনি।