বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেষ যাত্রায় কেকে, প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে তার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন সঙ্গীত জগতের তাবড় কুশলীরা। চোখের জলে উপস্থিত হয়েছিলেন সকলেই। আকৃতি কক্কর থেকে জাভেদ আখতার, হরিহরণ, শ্রেয়া – বাদ গেলেন না কেউই।
পরনে সাদা পোশাক, চোখে মুখে এক অদ্ভুত অভিব্যক্তি যেন কেউই মেনে নিতে পারছেন না। গতকাল থেকেই তার মৃত্যুশোকে ভেঙে পড়েছেন সকলে। কেন তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া? এটাও কি বয়স? সকলের মনে এই একটাই প্রশ্ন।
শ্রদ্ধা জানাতে আসেন, বর্ষীয়ান শিল্পী হরিহরণ। অলকা ইয়াগনিক আসেন তার ছেলেকে নিয়ে। সস্ত্রীক শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানালেন বিশাল ভরদ্বাজ। কবির খান এবং স্ত্রী মিনি মাথুর দুজনেই ছিলেন কেকের ভীষণ ভাল বন্ধু। সকাল সকাল বন্ধুকে শেষবারের মত দেখতে তাঁরাও এলেন। শ্রেয়া ঘোষাল যেন মানসিক ভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছেন। চোখের জল বাঁধই মানছে না তাঁর। শঙ্কর মহাদেবন গতকাল থেকেই ঘোরের মধ্যে, তিনি যেন হতবাক। ভিডিও পোস্ট করেই জানিয়েছিলেন শোকবার্তা। জাভেদ আখতারকে সঙ্গে নিয়ে এলেন মহাদেবন। সুরকার সেলিম মার্চেন্টও এলেন।
মন ভার আকৃতি কক্করেরও। এর আগেও সারেগামাপা এর মঞ্চেও একসঙ্গে গেয়েছেন। স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই এলেন আকৃতি, চোখের জল মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলেন। হর্ষদীপ কৌর, পাপন – প্রিয় সহকর্মী থেকে এক অনবদ্য গায়ক তার শেষ যাত্রায় সঙ্গী হলেন সকলেই।
ছেলে নকুল ধীরে ধীরে পালন করেছেন সমস্ত নিয়ম। ভেরোসভা শ্মশানে সম্পন্ন হবে শেষ কৃত্য। কাঠের মাধ্যমেই দাহ করা হবে শিল্পীকে। সবকিছুই ধীরে ধীরে গুছিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গতকালই কলকাতা থেকে মুম্বই পৌঁছেছে তার মরদেহ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্বাবধানে তাকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। বড় তাড়াতাড়িই যেন বলে দিলেন ‘আলবিদা’। ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে সকলের, শেষ যাত্রায় কেকে।