বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইএসএফ (ISF) নেতা নওশাদ সিদ্দিকিকে (Nawsad Siddique) দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে ফুরফুরা শরিফের তিন পীরজাদা (Pirzada) ও তাঁদের অনুগামীরা হাজির হলেন লালবাজারে (lalbazar)। প্রথমে সেই সাক্ষাৎ এ তাঁদের বাঁধা প্রদান করে পুলিশ। এরপর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলে অবশেষে লালবাজারে প্রবেশের অনুমতি পান তাঁরা। এদিন সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপর তোপ দাগলেন পীরজাদারা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আইএসএফের উপর হামলার ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামিকাল সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মাঝে এদিন লালবাজারে পৌঁছে তুলকালাম পীরজাদাদের। তাঁদের অভিযোগ, নওশাদ মাথায় চোট পেয়েছেন। তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা টুকুও হয়নি। উপর থেকে গত তিনদিন ধরে একই পোশাক পড়ে রয়েছেন তিঁনি। এসব অভিযোগকে হাতিয়ার করেই এদিন নওশাদের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান পীরজাদারা।
শুধু তাই নয়, এদিন লালবাজারে এক পীরজাদার হুঙ্কার করে বলেন, “আমরা মমতাকে নবান্নে বসিয়েছি। আর ফুরফুরার পীরজাদার উপর অন্যায় হচ্ছে। রাজনীতি সবাই করতে পারে, কিন্তু অন্যায় মেনে নেব না। আমাদের তিনভাইকে ঢোকার অনুমতি দিতেই হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন হবে।” কিছুক্ষন এসব হুমকি -হুঁশিয়ারি চলার পর অবশেষে নওশাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান তাঁরা।
এদিন লালবাজারের ঘটনা প্রসঙ্গে বিরোধীদের তোপ দেগে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “যত অশুভ শক্তি এক জায়গায়। আগে ছিল বাম-কংগ্রেস। এখন বিজেপি। যাদের নীতি নেই, তারা গোলমাল করছে। সস্তার রাজনীতি চলছে।” তাঁর সংযোজন , “ধর্মগুরুদের ধর্ম নিয়েই থাকা উচিত। তাঁরা রাজনীতিতে না আসাই ভাল।” অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে লাল নেতা শমীক লাহিড়ির মন্তব্য, “যার গাড়ি ভাঙল তাঁকেই গ্রেপ্তার করা হল। এর প্রতিবাদ হবে। আমরা সঙ্গে আছি।”