বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে হিন্দু পাড়া থেকে গ্রামবাসীদের গরু চুরি করে কসাইখানায় নিয়ে জাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো ফুরফুরা কসাইপাড়া। অভিযোগ, গতকাল কয়েকজন যুবক রাতের অন্ধকারে হিন্দুদের গোয়াল ঘর থেকে কসাই খানায় নিয়ে যাচ্ছিল। এই ঘটনা সামনে আসতেই উত্তেজিত হিন্দুরা কসাইখানায় হামলা চালায়। মারধর করা হয় কসাইদের। ঘটনার খবর পেতেই পুলিশ এসে কোনরকম ভাবে উদ্ধার করে কসাইদের।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে হিন্দু এলাকা থেকে কয়েকটি গরু দুরি করে নিয়ে পালানোর সময় গ্রামেরই এক বাসিন্দা দেখে ফেলেন। গরু গুলো চুরি করে নিয়ে গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। এরপর ওই গ্রামবাসী ঘটনার কথা এলাকার মানুষের কাছে জানান।
বেশ কয়েকমাস ধরে ওই সন্ধিপুর এলাকা থেকে গরু চুরি হচ্ছিল, আর সেই নিয়ে গ্রামবাসীদের মনে ক্ষোভও ছিল প্রচুর। এরপর আবার নতুন করে চুরির ঘটনায় গ্রামবাসীদের মনে আরও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এই ঘটনার পর গ্রামবাসিরা রাত দুটো নাগাদ একজোট হয়ে কসাইখানায় যান। আর সেখানে গিয়ে তাঁরা চুরি হওয়া গরু গুলোকে দেখতে পারেন।
চুরি হওয়া গরু গুলোকে কসাইখানায় দেখতে পেয়ে আরও ক্ষোভে ফেটে পড়ে হিন্দুরা। এরপর সেই কসাইখানায় হামলা চালায় তাঁরা। সেই সময় কসাইখানায় উপস্থিত ছিল কসাইখানার কর্মী শেখ ইন্তাজ, শেখ সাহিল ও শেখ আখতার। উত্তেজিত জনতা কসাইখানার ওই কর্মীদের ধরে ব্যাপক মারধর করে।
এই ঘটনার কথা জানার সাথে সাথেই কসাইখানার সামনে হাজির হয় পুলিশ। এরপর উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকার হিন্দুরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি ছিল যে, চুরি যাওয়া গরু গুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।