বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি শুরু হয়ে গেছে বিজেপির গান্ধী সংকল্প যাত্রা। সেই যাত্রাতে প্রতিনিয়ত বহু গেরুয়া শিবির নেতা রাজ্যের শাসক দলের সমালোচনা করে এসেছেন। সেইভাবে আরো একবার যাত্রা চলাকালীন নাম না করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমনাত্মক সুরে কটাক্ষ করলেন BJP সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, “রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটাচ্ছে যে পিসি-ভাইপো, তাদের বিরুদ্ধে এই সংকল্প যাত্রা। ” পালটা গান্ধি সংকল্প যাত্রাকে শবযাত্রা বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।
কয়েকদিন আগেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে, মহাত্মা গান্ধির ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে শুরু করা হয়েছে গান্ধি সংকল্প যাত্রা। আজ বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বাঁকুড়ার ওন্দার রামসাগরে গান্ধি সংকল্প যাত্রার সুচনা করেন। এখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তিনি দায়ী করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন সৌমিত্র বলেন, “গণতন্ত্রের অবসান ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। এখন কেউ যদি কিছু লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে তাহলে তাঁকে রাত্রিবেলা জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে এই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা একেবারেই অগণতান্ত্রিক, যারা হিংসার ঘটনা ঘটাচ্ছে সেই পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে আমাদের এই সংকল্প যাত্রা। পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার যাত্রা। হিংসামুক্ত ও পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে চাই রাজ্যে।”
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করেছে, উদ্দেশ্য নতুন বাংলা। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে বিজেপির ৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতিভবনে যায়। এই সংক্ষিপ্ত দলটির মধ্যে ছিলেন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, সাংসদ অর্জুন সিং, সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশ সন্দেহ করছে এর পেছনে কি কোনো মতলব আছে বিজেপির? তাহলে কি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করাতে উঠে পড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির? শুরু হয়েছে জল্পনা।