বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশ থেকে গঙ্গাসাগরগামী তিন সাধুর ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলা। পুরুলিয়ায় তিন সাধুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় (Gangasagar Sadhu Hackle Case) উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন রাম মন্দিদের প্রধান পুরোহিত। এবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন আক্রান্ত সাধুরাও।
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরে যাচ্ছিলেন পাঁচ সাধুর দল। তবে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুর এলাকায় তাদের গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দারা অপহরণকারী সন্দেহে ৩ সাধুকে মারধর করে। ইতিমধ্যেই সাধুদের হেনস্থা করার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ঘটনা নিয়ে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে।
শুধুই যে সাধুদের মারধর করা হয়েছে তা নয়, ভাঙচুর করা হয় তাদের গাড়িও। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গুজবের জেরে ওই তিন সাধু আক্রান্ত হন। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের এদিন রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
ওদিকে ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন আক্রান্ত সাধুরাও।তাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন গঙ্গাসাগর মেলায় না গিয়ে তারা নিজেদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে ফিরে যাবেন। ওই সাধুর কথায়, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাই উপায় না থাকায় তারা নিজ রাজ্যেই ফিরে যাচ্ছেন।
বাংলায় এসে আক্রান্ত ওই সাধুরা বলেন, “আমরা গঙ্গাসাগর যাচ্ছিলাম। তখন হঠাৎ আমাদের আটকানো হয়। আমাদের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। মারধর করেছে। ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছি। পুলিশ আমাদের ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে থানায় রেখে দিয়েছে। আমরা ফেরত যাব।” তবে গোটা ঘটনায় হামলাকারীদের কোনও শাস্তি হোক সেটা তারা চান না বলেও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জোরকদমে চলছে তৃণমূলের নয়া ভবনের কাজ! ৪ তলা বিল্ডিং-এ কি কি থাকবে? জানলে ‘থ’ হয়ে যাবেন
ঘটনা প্রসঙ্গে, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জি জানান, ‘ সাধুরা একটি গাড়িতে ভ্রমণ করছিলেন যখন তারা পুজোর জন্য স্থানীয় কালী মন্দিরে যাওয়ার পথে তিনজন মহিলার সামনে থেমে তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করেন। মেয়েরা ভেবেছিল যে ওই সাধুরা তাদের অনুসরণ করছে। ভুল ধারণায় স্থানীয় বাসিন্দারা সাধুদের হেনস্থা করেছে। মারধর করা হয়েছে। কিছু ভাষাগত সমস্যার কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। “