বিমানের বাথরুমেও গুটখার পিক! দেখে রেগে লাল গর্গ চট্টোপাধ্যায়! ভিডিওর মাধ্যমে করলেন কটাক্ষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অল্প সময়ের ব্যবধানে দূরের কোনো গন্তব্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে আকাশপথকে বেছে নেন সকলে। সেই কারণেই প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিমান যাত্রীর সংখ্যা। এমতাবস্থায়, যাত্রীদের সঠিক পরিষেবা এবং নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলিও। তবে, এবার বিমানে চেপে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় (Garga Chatterjee)। এমনকি, সংশ্লিষ্ট বিষয়টি জনসমক্ষে আনতে একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি। যেটিতে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

এমনিতেই, “গুটখা রেখে দিলে আলসার, বাড়তে দিলে ক্যানসার” এই উক্তিটি প্রায়শই শোনা যায় গর্গের মুখে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাঁকে এই উক্তিটি বলতে দেখা গেছে। এদিকে, ঘটনাচক্রে মাঝ আকাশে তিনি নিজেই এবার সেই গুটখার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর প্রকাশিত ভিডিওটি থেকে জানা গিয়েছে যে, তিনি দিল্লি থেকে কলকাতাগামী একটি বিমানে সফর করছিলেন। সেই বিমানেরই বাথরুমটি ব্যবহার করতে গিয়ে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁর।

   

মূলত, তিনি সেখানে থাকা একটি বেসিনে গুটখার থুতু দেখতে পান। রীতিমতো থুতুর “পুকুর” দেখা যায় সেখানে। এমতাবস্থায়, ওই ঘৃণ্য বিষয়টি তিনি সামনে আনেন। পাশাপাশি এটির জন্য সেখানে যে বিদঘুটে গন্ধের উদ্রেক ঘটেছে সেটিরও অবতারণা করেন তিনি। যদিও, সেই বেসিনটির পাশে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে হিন্দি এবং ইংরেজিতে সেটি ব্যবহারের পর পরিষ্কার রাখার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু, সেখানে বাংলা ভাষায় কোনো নির্দেশ দেওয়া ছিল না।

এমতাবস্থায় গর্গ জানান, “যাঁরা গুটখা ফেলে গেছেন, তাঁদের ভাষাতেই এগুলো লেখা আছে। বাঙালির ভাষায় কিছুই লেখা নেই।” এছাড়াও, সেখানে আরও অনেক নির্দেশ দেওয়া ছিল। যদিও, সেগুলি প্রত্যেকটিই লেখা ছিল হিন্দি এবং ইংরেজিতে। জানা গিয়েছে, গর্গ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চেপে সফর করছিলেন।

পাশাপাশি, তিনি এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এনে সেটির ক্যাপশনে লিখেছেন,” এয়ার ইন্ডিয়া কখন এয়ার গুটখা হয়ে যায়, ধরতে পারবেন না। দিল্লি থেকে কলকাতার বিমানে উঠে বোঝা গেল মাঝে ইউপি, বিহার, ঝাড়খন্ড ইত্যাদি রাজ্য আছে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর