বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় ছিল যখন অধিকাংশ বাড়িতে রান্না করা হত জ্বালানি কাঠে। তবে পরিবেশ দূষণ রুখতে ও সাধারণ মানুষকে রোগব্যাধির হাত থেকে বাঁচাতে বর্তমানে দেশের প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ব্রত নিয়েছে সরকার। তবে সেই সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এই অবস্থায় সিলিন্ডার কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। এবার তাই সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে চালু করা হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা। এমনকি এই প্রকল্পে হতে চলেছে বিপুল কর্মসংস্থান। জানা যাচ্ছে, বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি এই প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকতে চলেছে।
উর্জা গঙ্গা প্রকল্প কী ? (Urja Ganga Gas Pipeline Project)
এইবার জগদীশপুর থেকে হলদিয়ায় বসতে চলেছে গ্যাস সরবরাহের মূল পাইপলাইন (Gas Pipeline)। উর্জা গঙ্গা (Urja Ganga Gas Pipeline Project) নামক এই প্রকল্পের মূল পাইপলাইন ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে নদিয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত। এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সস্তার প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হবে হোটেল–রেস্তোরাঁ এবং উৎপাদনের কাজে।
এমনকি সিএনজি হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে এই গ্যাস। করণ পলিমার সংস্থা এই পাইপলাইন তৈরির কারখানা তৈরি করতে চলেছে হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরে। সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্যামলাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহের পাইপ তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হবে হাওড়ার রানিহাটি–আমতা রুটে থাকা জমিতেই।
আরোও পড়ুন : সব্যসাচীর মনে নতুন কেউ, মেনে নিতে পারবেন তো? ঐন্দ্রিলার মা বললেন, ‘ও কিন্তু এখনও…’
শ্যামলাল আগরওয়াল কারখানায় কর্মসংস্থানের বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ‘IOC এবং GAIL প্রাকৃতিক রান্নার গ্যাস সরবরাহের যে পরিকল্পনা করেছে, আমরা তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। যেখানে বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস দিতে যে পলিথেলিন পাইপ ব্যবহার করা হবে সেটা আমরা তৈরি করব।” হাজারের বেশি মানুষ পাবেন পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ।
পাশাপাশি তাঁর আরো বক্তব্য, ১০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হবে কারখানা। তৈরি করা হবে গ্যাস পাইপ (Gas Pipeline) তৈরি এবং একটি গবেষণা ও উন্নয়নের কেন্দ্রও। সব মিলিয়ে ১২০০-র কাছাকাছি কর্মসংস্থান হতে চলেছে নতুন এই কারখানায়, যেখানে সরাসরি কাজের সুযোগ পাবেন কমপক্ষে ১০০ জন।