বাংলা হান্ট ডেস্ক : তাদের ভালোবাসার উপাখ্যানকে রূপকথার গল্প বললেও কিছু কম বলা হবেনা। রাস্তা থেকে শুরু করে রাজপ্রাসাদ তৈরির সফরটা খুব একটা সহজ ছিলনা। আর এই গোটা সফরটাতে শাহরুখের (Shah Rukh Khan) সাথ দিয়েছিলেন স্ত্রী গৌরী (Gauri Khan)। হাতে হাত রেখে সাহস জুগিয়েছিলেন যে, একদিন সাফল্য আসবেই। শাহরুখ কখনও হাল ছেড়ে দিলে তিনি বুঝিয়েছেন, হাল ছাড়তে নেই।
আর আজ সাফল্যের শিখরে বসে শাহরুখও অকপটে স্বীকার করেন যে, তারকা না হয়ে ওঠা শাহরুখের সমস্ত চড়াই উৎরাই-র সঙ্গী ছিলেন তার স্ত্রী গৌরী খান। তবে এই বিষয়টা অত সহজে আসেনি। একটা সময় গৌরী শাহরুখের এই সাফল্যের কথা ভাবতে গিয়েও ভয় পেয়েছিলেন। পিছিয়ে এসেছিলেন দু’পা।
বলিউড ভিত্তিক মিডিয়ার রিপোর্ট, দিল্লি থেকে শাহরুখের মুম্বাই আসা নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল গৌরীর। তিনি কখনোই চাননি যে, শাহরুখ দূরে যাক। একবার এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টা নিয়ে সোজাসুজি মুখও খুলেছিলেন তিনি। শাহরুখ পত্নী বলেন, “আমি চাইনি ও মুম্বই চলে যাক। আমি জানিও না ও কখন তারকা হয়ে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন : ঐন্দ্রিলাকে বাঁচিয়ে রাখতে নয়া উদ্যোগ নিলেন মা শিখা শর্মা! কুর্ণিশ দেশবাসীর
আসলে গৌরী এবং শাহরুখ প্রথম যখন মুম্বাই আসেন তখন কোনোকিছুই তার আর ভালো লাগছিলনা। না মুম্বাইয়ের পরিবেশ তার ভালো লাগতো আর না সেখানকার লোকজন। এককথায় মুম্বাই কখনও তার বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি এবং তিনিও কখনও মুম্বাইয়ের বন্ধু হয়ে উঠতে পারেননি। আর তাই তো মরিয়া হয়ে নিজের চেনা আস্তানায় ফিরতে চাইছিলেন গৌরী।
আরও পড়ুন : ‘বিজেপির এজেন্ডা ঠিক নেই’, ধর্ণামঞ্চে মমতা-অভিষেকের জয়ধ্বনি দিয়ে বিষ্ফোরক রিমঝিম
এই বিষয়ে গৌরী জানান, “আমি ভেবেছিলাম শাহরুখের ছবি ফ্লপ করল, দিল্লি ফিরে যেতে পারব আবার। মাত্র ২১ বছর বয়সে আমার বিয়ে হয়েছিল। তখন সিনেমা বা কী ভাবে কী হয়, এ সব বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। মনে হত, সব ফ্লপ হয়ে যাক। আমি পালিয়ে যাব।” তবে ভাগ্যিস গৌরীর সেই মনের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। আর তাই তো আজ দেশবাসী পেয়েছে সুপারস্টার শাহরুখকে। তবে একথাও ভুললে চলবে না যে, বাদশার বাদশাহি সফরের প্রত্যেক ধাপেই তার সঙ্গে আছেন গৌরী।