বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের আগেই ভেঙে পড়ল গৌতম আদানির (Gautam Adani) সংস্থার তৈরি বিশেষ নজরদারি ড্রোন। মঙ্গলবার পোরবন্দরে পরীক্ষামূলক উড়ানের সময় ভেঙে পড়ে আদানি ‘ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস’ নির্মিত ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’ ড্রোন। ইজরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই ড্রোনটি। আদানির (Gautam Adani) সংস্থার তরফে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া প্রথম ড্রোন এটি।
ভারতীয় নৌবাহিনীকে হস্তান্তরের আগেই ভেঙে পড়ল আদানির (Gautam Adani) ড্রোন
নৌ এবং সেনা বাহিনী গোয়েন্দা তথ্য এবং নজরদারির ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জরুরি ভিত্তিতে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল দুটি ড্রোনের। এই দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার ড্রোন গত বছরই নজরদারির কাজে অন্তর্ভুক্ত করেছিল নৌবাহিনী। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আদানির (Gautam Adani) সংস্থার আরও একটি ড্রোন আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় নৌবাহিনীর হাতে। হায়দ্রাবাদ থেকে সেটিকে পাঠানো হয় পোরবন্দর। তবে নৌবাহিনীকে হস্তান্তরের আগেই পরীক্ষামূলক উড়ানের সময় এটি ভেঙে পড়ে।
কী বিশেষত্ব রয়েছে ড্রোনের: উল্লেখ্য, মাঝারি উচ্চতায় ওড়ার জন্য উপযুক্ত এই দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার ড্রোন। একটানা ৩৬ ঘন্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রোন। পাশাপাশি ৪৫০ কেজি ভার বহন করতেও সক্ষম ড্রোনটি। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের পাশাপাশি শত্রুপক্ষের উপরে নজরদারি করতেও এই ড্রোন কার্যকর। সেই সঙ্গে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে উড়তে পারে এই ড্রোন, এমনটাই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল। ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছেও এই ড্রোন বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন : তিলোত্তমা ও চিন্ময় প্রভুর বিচারের দাবি! মহাকুম্ভে শাহি স্নান ভয়হারিণী কালী মন্দির সনাতন মঞ্চ প্রতিনিধিদের
ইজরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহারে তৈরি ড্রোন: উল্লেখ্য, ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই স্বয়ংক্রিয় ড্রোন। আদানির (Gautam Adani) ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস এর হায়দ্রাবাদ ইউনিটে তৈরি হয়েছে দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার। বলা হচ্ছে, ইজরায়েলি হার্মিস ৯০০ স্টারলাইনার এর ভারতীয় বিকল্প এই ড্রোন। যেকোনো ঋতুতে, যেকোনো আবহাওয়ায়, এমনকি নির্ধারিত আকাশপথের বাইরেও উড়ানের জন্য এই ড্রোনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
আরো পড়ুন : শহরের মধ্যেই সুবিশাল লন সহ সুদৃশ্য ব্যাঙ্কোয়েট, এখানেই হচ্ছে শ্বেতা-রুবেলের রিসেপশন! খরচ কত জানেন?
জানিয়ে রাখি, এক একটি ড্রোন তৈরিতে খরচ পড়েছে ১৪৫ কোটি টাকা। অথচ একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বাদ দিয়ে এত টাকা দিয়ে আদানির থেকে ড্রোন খেলায় মোদী ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছিলেন, ইজরায়েলি সংস্থার থেকে চারটি হার্মিস ৯০০ ড্রোনের যন্ত্রাংশ আমদানি করে, তা জুড়ে এই দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার বানিয়েছে। কিন্তু এতে শুধু ড্রোনের এয়ারফ্রেমটাই হয়েছে। আর এবার নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের আগেই ড্রোন ভেঙে পড়ায় যে বিরোধীরা আঙুল তোলার আরো সুযোগ পেলেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।