বাংলা হান্ট ডেস্ক: ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এমনিতেই মোট সম্পদের বিচারে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিলিয়নেয়ারদের রীতিমতো টক্কর দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি, একের পর এক সেক্টরে নিজের “এন্ট্রি”-ও বজায় রাখছেন এই বিজনেস টাইকুন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিনি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আরেকটি বড় চুক্তি করেছেন। যেটির মূল্য হল প্রায় ৮৩৫ কোটি টাকা। খবর অনুযায়ী, আদানি লজিস্টিকস (Adani Logistics) এখন ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো (Inland Container Depot ICD), Tumb-এর অধিগ্রহণ করতে চলেছে।
চুক্তিটির মূল্য ৮৩৫ কোটি টাকা: আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (Adani Ports And Economic Zone Limited)-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান আদানি লজিস্টিকস (Adani Logistics) এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার, সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, ICD Tumb-এর অধিগ্রহণের জন্য এটি নবকার কর্পোরেশনের (Navkar Corporation)-এর সাথে মোট ৮৩৫ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
৫ লক্ষ TEU ধারণক্ষমতার ডিপো: এই প্রসঙ্গে বিজনেস টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ICD Tumb বৃহত্তম ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ধারণক্ষমতা হল ০.৫ মিলিয়ন বা ৫ লক্ষ TEU। ICD কৌশলগতভাবে হাজিরা (Hazira) বন্দর এবং নাভা শেভা (Nhava Sheva) বন্দরের মধ্যে অবস্থিত। পাশাপাশি, সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চুক্তি ভবিষ্যতে ক্ষমতা এবং কার্গো বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এছাড়াও, কোম্পানিটি বলেছে যে Tumb ICD-র একটি ব্যক্তিগত মালবাহী টার্মিনাল রয়েছে যার চারটি রেল হ্যান্ডলিং লাইন ওয়েস্টার্ন ডিএফসি-তেও সংযুক্ত রয়েছে।
শক্তিশালী পরিকল্পনা: এদিকে, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (APSEZ)-এর সিইও করণ আদানি (Karan Adani) এই চুক্তি সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, “দেশের অন্যতম বৃহত্তম ICD Tumb-এর অধিগ্রহণ আমাদের পরিকল্পনাকে শক্তিশালী করবে।” পাশাপাশি, তিনি বলেন, “এই অধিগ্রহণ একটি পরিবহণ ইউটিলিটি হয়ে ওঠার জন্য আমাদের রূপান্তর কৌশলকে এবং আমাদের গ্রাহকদের ঘরে ঘরে অর্থনৈতিক পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যাবে।”
বিশ্বের চতুর্থ ধনী হলেন আদানি: ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি শুধু এশিয়ার ধনী ব্যক্তিই নন, পাশাপাশি, তিনি বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসেবেও বর্তমানে বিবেচিত হচ্ছেন। ফোর্বসের রিয়েল টাইম তালিকা অনুযায়ী, ১৩৪.৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ সহ, আদানি বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেটের মতো বিলিয়নেয়ারদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া আয়ের দিক থেকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের ইলন মাস্ক সহ অন্যান্য বিলিয়নেয়ারদের থেকেও এগিয়ে রয়েছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান। এমতাবস্থায়, যে হারে তাঁর সম্পদ বাড়ছে তাতে অনুমান করা হচ্ছে যে, তিনি শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারেন।
সরকার জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে: সম্প্রতি গৌতম আদানিকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে, তাঁকে দেওয়া নিরাপত্তার খরচ তিনি নিজেই বহন করবেন। মূলত, IB-র থ্রেট পারসেপশন রিপোর্টের ভিত্তিতে, MHA আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যানকে এই সুরক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও জানিয়ে রাখি যে, গৌতম আদানি তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সিমেন্ট সেক্টরে প্রবেশ করার পরে এবার ইস্পাত সেক্টরে প্রবেশ করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।