বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg) কাণ্ডের পর বড় ধাক্কা খেয়েছেন ধনকুবের গৌতম আদানি(Gautam Adani)। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তাঁর। বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী তালিকায় (Billionaire Index) ক্রমশ নীচের দিকে নেমে গিয়েছেন তিনি। এখনও সেই পতন জারি রয়েছে। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যানের মোট সম্পত্তি আরও কমেছে। শুক্রবার অর্থাৎ সপ্তাহের শেষ ব্যবসার দিনে আদানি গ্রুপের (Adani Group) ১০টির মধ্যে ৪টি সংস্থার পতন হয়েছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্স (Bloomberg Billionaire Index) অনুযায়ী, আদানির মূল সম্পত্তি আরো ১.১৫ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে। এখন তাঁর কাছে রয়েছে মোট ৪৯.১ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি। এছাড়াও সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁর স্থান হয়েছে ২৫ নম্বরে। এক সময় তিনি বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন। চলতি বছরে মোট ৭১.৫ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি খুইয়েছেন গৌতম আদানি।
গত সেপ্টেম্বরে আদানি এই তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর মোট সম্পত্তি ছিল প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২৪ জানুয়ারির হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট আসার পর বড়সড় ধাক্কা লাগে আদানির সম্পদে। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আর্থিক তছরূপ, শেয়ার কারচুপি-সহ একাধিক অভিযোগ তোলে আদানির দিকে। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্কের।
যদিও আদানি গ্রুপের তরফে বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে যে এই রিপোর্ট আসলে ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। কিন্তু শেয়ার বাজারে এই রিপোর্টের নেতিবাচক প্রভাবই লক্ষ্য করা গিয়েছিল। শুক্রবার আদানি গ্রুপের ১০টির মধ্যে ৪টি সংস্থার শেয়ারের দাম পড়ে গিয়েছে। বাকি ৬টি সংস্থা কিছুটা হলেও ভাল ফল করেছে। এ দিন আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার ৪.১৫ শতাংশ পড়েছে।
ফলে এই সংস্থার বাজারে মূলধন ২ লক্ষ কোটি টাকার নীচে ছিল। এছাড়াও আদানি ট্রান্সমিশনের দাম ৪.৮৭ শতাংশ পড়েছে। আদানি টোটাল গ্যাস ৫ শতাংশ এবং এসিসি ০.০৮ শতাংশ পড়েছে। যদিও বাজারে তুলনামূলক ভাল ফল করেছে আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পোর্টস, আদানি পাওয়ার, আদানি উইলমার, আম্বুজা সিমেন্টস এবং এনডিটিভি।