বাংলা হান্ট ডেস্ক: মোট সম্পদের বিচারে বিশ্বের তাবড় তাবড় ধনকুবেরদেরকে কড়া টক্কর দেন ভারতের বিজনেস টাইকুন গৌতম আদানি Gautam Adani)। এমনকি, ভারতের আরেক ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) এই দৌড়ে অনেকটাই পেছনে ফেলেছেন আদানি। এমতাবস্থায়, এখন তাঁর লক্ষ্য রয়েছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবেরদের তালিকার তৃতীয় স্থানটি। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, বর্তমানে গৌতম আদানি সর্বমোট ১৩১ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের সাথে এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন।
পাশাপাশি, তাঁর ঠিক উপরেই আছেন বার্নার্ড আরনাল্ট। যাঁর মোট সম্পদের পরিমান হল ১৪৯ বিলিয়ন ডলার। যদিও, এই মুহূর্তে আদানির সম্পদের পরিমান প্রতিনিয়ত কার্যত রকেটের গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে, আশ্চর্যজনকভাবে মোট সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ দশে থাকা বাকি ধনকুবেরদের সম্পদ কমছে। এমতাবস্থায়, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, সেক্ষেত্রে আদানি, যেভাবে সম্পদ বৃদ্ধি করছেন তাতে তিনি প্রথম স্থানেও চলে আসতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, উপার্জন এবং লাভের ভিত্তিতে গৌতম আদানি বিশ্বের বাকি ধনকুবেরদের পেছনে ফেলেছেন। এই প্রসঙ্গে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে জানা গিয়েছে, গৌতম আদানির সম্পদ বছরে ৫৪.৯ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। অপরিদকে, এলন মাস্কের সম্পদ ৩.৭৪ বিলিয়ন ডলার, জেফ বেজোসের ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার, বার্নার্ড আরনালটের ২৯.১ বিলিয়ন ডলার, বিল গেটসের ১৪.৯ বিলিয়ন ডলার, ল্যারি পেজের ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার, ওয়ারেন বাফেটের ২.০৮ বিলিয়ন ডলার, সের্গেই ব্রিনের ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার, স্টিভ বালমালের ৩.১৩ বিলিয়ন ডলার এবং ল্যারি এলিসনের ৮.১৫ বিলিয়ন ডলার সম্পদ কমেছে। যদিও, তালিকার একাদশ স্থানে থাকা মুকেশ আম্বানির সম্পদ ৪.৫৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেন বেড়েছে আদানির সম্পদ: গৌতম আদানির সম্পদ বৃদ্ধির কারণ হল তাঁর কোম্পানিগুলির চমৎকার পারফরম্যান্স। আদানির মোট ৭ টি কোম্পানি আদানি গ্রিন, আদানি পাওয়ার, আদানি গ্যাস, আদানি উইলমার, আদানি পোর্ট, আদানি ট্রান্সমিশন এবং আদানি আদানি এন্টারপ্রাইজেস স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। এইসব কোম্পানির শেয়ারের পারফরম্যান্স থেকে শুরু করে ত্রৈমাসিক ফলাফল পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
শীর্ষ দশের বাইরে আম্বানি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান মুকেশ আম্বানি আপাতত শীর্ষ ১০ বিলিয়নেয়ারের তালিকার মধ্যে বাইরে রয়েছেন। আপাতত, মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদ ৯৪.৫ বিলিয়ন ডলার। এমতাবস্থায়, তিনি একাদশ স্থানে রয়েছেন। উল্লেখ্য যে, তিনি এখন এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। প্রথমে রয়েছেন গৌতম আদানি।