পুড়ছে কোরান, মসজিদে তালা, মাদ্রাসা বন্ধ চীনে! ভয়ঙ্কর টুইট, অথচ গণতন্ত্রের ভারতে চলছে তান্ডব

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ  চীনে যখন একের পর এক নারকীয় ঘটনার মুসলিম সম্প্রদায় নিজেদের জীবন দিতে বসেছে তখন কিন্তু ভারতের মোদি জমানায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে যথেষ্ট শান্তিতে। তাদের ওপর হয়তো কোনো অত্যাচারী নেমে আসে নি। যেমন চিনে ঘটছে। কিন্তু সেই আন্দোলনকে অত্যাচারের মাপকাঠি কে হয়তো কোনো গণতান্ত্রিক দেশে মেনে নেয় না। তবুও কেন শুধু ভারতের ক্ষেত্রে তারা এতটা অর্জনের ক্ষেত্রে তাদের এমন চরম মনোভাব? তবে কেন ওই পাকিস্তান গর্জে উঠছে না? পাকিস্তান থেকে আরম্ভ করে মুসলিম দেশগুলো কেন চুপ চীনের বিরুদ্ধে!

file78f2cqa6c6v141hgre0k 1576585971

দিল্লির জামিয়া থেকে আরম্ভ করে পশ্চিমবঙ্গের একেবারে সুন্দরবন কাকদ্বীপ থেকে উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক জেলা পর্যন্ত যেভাবে তাণ্ডবলীলা চালালো একশ্রেণীর মানুষ এত পরিষ্কার হয়ে গেল যে ভারতের শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের জন্য কি মনোভাব পোষণ করছে সেই মানুষদের একাংশ। আসলে কোন দেশে সংখ্যালঘুরা যখন পুরোপুরি তাদের স্বাধীনতা প্রকাশ করবার সুযোগ পায় তখনই হয়তো তাদের বৃদ্ধি ঘটে। তা না হলে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস ঘটেছে যে তার কারণ কি? সেখানে সংখ্যালঘুদের গণতন্ত্র নেই!

 

আর এই প্রসঙ্গেই এবারে চীনের অন্দরমহলের ঢোকা যায় তবে দেখা যাবে সেখানে চলছে মুসলিমদের প্রতি অত্যাচার। এবং নারকীয় কর্মকাণ্ড। চীন সরকারের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের আন্দোলন সমর্থন করে সম্প্রতি টুইট করেন তুর্কি বঙশোদ্ভূত ফুটবলার ওজিল।

IMG 20191218 WA0017 3

মূলত সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। টুইটবার্তায় বিশ্বকাপজয়ী সাবেক জার্মান তারকা লেখেন-, “পূর্ব তুর্কিস্তানে আগুন দিয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হচ্ছে, মসজিদে তালা দেয়া হচ্ছে, মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে মুসলিমদের এবং যুবকদের বন্দি করে দাসত্বের সম্মুখীন করা হচ্ছে।” আর এই আন্দোলনের একভাগও যদি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘটে থাকতো তবে হয়তো দোষারোপ করা যেত মোদি সরকারের ওপর। কিন্তু এখানে যতটা পরিমাণ স্বাধীনতা পচ্ছে সংখ্যালঘুরা ঠিক ততটা পরিমাণ গণতন্ত্রই তাদের প্রাপ্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও যেন পেটের ভাত হজম না হওয়ার মতো বারবার হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মোদি সরকারের উপর। যেন তারা সরকার নয় দেশের শত্রু।
তবে ওজিলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে চীন সরকার। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,–” গুজবে কান দিয়েছেন মেসুত। সম্পূর্ণ ভুল খবর ও তথ্যে প্রভাবিত হয়ে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন তিনি। তাকে জিনজিয়াং সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা।”


সম্পর্কিত খবর