লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথীকে টেক্কা দিচ্ছে এই প্রকল্প! নাম তুললেই মিলবে ৫,০০০ টাকা, এভাবে করুন আবেদন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণ মানুষদের সুবিধার্থে বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্প চালানো হয় সরকারের তরফে। যেগুলির মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হন জনগণ। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে শুরু করা লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) এবং স্বাস্থ্যসাথীর (Swasthya Sathi) মত প্রকল্পগুলি তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে, এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেকারদের স্বনির্ভর করতে তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে।

শুধু তাই নয়, সেগুলির মধ্যে এমন একটি প্রকল্প রয়েছে যেখানে আপনি আবেদন করলেই ৫,০০০ টাকা পেয়ে যাবেন। এমতাবস্থায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে পারবেন অনেকেই। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, স্বনির্ভর হতে চাইছেন এমন মৎস্যচাষীরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। তবে, প্রকল্পে আবেদন করার পর সমগ্ৰ বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁরা এই অনুদান আদৌ পাবেন কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা।

তবে, এই অনুদান পাওয়ার যোগ্য হলে সেক্ষেত্রে সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। মূলত, মাছ চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে চাইলে আপনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫,০০০ টাকা অনুদান পাবেন। শুধু তাই নয়, মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে যাঁরা অন্যের পুকুর বা জলাশয় লিজ নিয়ে মাছের চারা ছাড়ছেন তাঁরাও এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য পাবেন।

উল্লেখ্য যে, এর আগের নিয়ম অনুযায়ী সরকারের তরফে সরাসরি মাছের চারা দিয়ে সাহায্য করা হত মৎস্যচাষীদের। তবে, সেই নিয়মে বর্তমানে মাছের চারা কিনে দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা সামনে আসায় এবার সরকারের তরফে চারা কেনার জন্য টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, এক্ষেত্রে মোট ৯,০০০ জন এই ৫,০০০ টাকার অনুদান পাবেন। তবে, এককালীন কিন্তু ৫,০০০ টাকা মিলবে না। বরং, কয়েকটি ধাপে ধাপে এই টাকা দেওয়া হবে।

rupee money currency notes India GDP 1019x573 1

মূলত, ১,০০০ টাকা দেওয়ার পর সেই টাকায় মাছের চারা কিনে পুকুরে ছাড়ার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট থাকলেই পরবর্তী সাহায্য মিলবে। প্রধানত, মৎস্য চাষে উৎসাহ বৃদ্ধির জন্যই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এমতাবস্থায়, এই প্রকল্পে বীরভূম ও বাঁকুড়া সহ হুগলি, হাওড়া এবং দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের মত উপকূলবর্তী জেলাগুলির মৎস্যচাষীর এখানে বেশি গুরুত্ব পাবেন এবং লাভবানও হবেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর