বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাকালে ভারত (india) এবং আফ্রিকা (africa) অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছে। একসঙ্গে মহামারির প্রতিরোধ করা, এমনকি বৈশ্বিক সংস্থায় লোকতান্ত্রিক সংশোধনেও একজোট হয়ে আওয়াজ তুলেছে। এমনকি এই দুই দেশে সংযুক্ত রাষ্ট্র সুরক্ষা পারিষদে স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্যের সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সহমত পোষণ করেছে।
আফ্রিকার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়িয়ে নিতে আগ্রহী ভারত। পাশাপাশি পরিকাঠামোগত দিক থেকেও সম্পর্ক বাড়াতে চাইছে। ফার্মাসিটিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বৈদ্যুতিন সামগ্রীর রপ্তানি করে আফ্রিকা থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং হীরের আমদানি করে ভারত। এবার থেকে এই সম্পর্ককে আরও মজবুত করার দিকে এগোচ্ছে ভারত সরকার।
বিগত বছরে আফ্রিকার ৩০ টি দেশের জিডিপির থেকেও চীনের ট্রেড বেশি ছিল। চীনের সঙ্গে আফ্রিকার ব্যবসা হয়েছিল ২০০ আরব আমেরিকান ডলার। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে আফ্রিকার প্রায় ৭১.৬৫ আরব ডলারের ব্যবসা হয়েছিল। যা আফ্রিকায় চীনের ব্যবসায়িক শক্তির অর্ধেকের থেকেও অনেক কম। চীনকে সরিয়ে এবার এই ব্যবসায়িক সম্পর্ককেই অনেকটা বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ভারত আফ্রিকা।
চালবাজ চীনের দাদাগিরির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভারত এবং অন্যান্য দেশ একজোট হয়ে চীনকে তাদের রাস্তা থেকে সরানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ভারত এবং রাশিয়াও একযোগে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়িয়ে চীনকে মাত দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী আফ্রিকান দেশগুলোর উপরও সমান নজর রেখেছেন। গত বছর এপ্রিলে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠক করে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন।