বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা বদলে দিয়েছে জীবন, সারাদিন ছুটে বেড়ানো মানুষ আজ গৃহবন্দী। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের ভিড়ে গমগম করা শিয়ালদহ চত্বর বা এসপ্ল্যানেড আজ শুনশান। লোকাল ট্রেনে বা ভিড় বাসে মারামারি করে কর্মস্থলে যাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত আজ পরিচিত মানুষের সাথে করমর্দন করতেও ভীত।
WHO সহ পৃথিবীর অনেক সংস্থা বলছে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে না করোনা। বরং আমাদের করোনার সাথেই সংসার করতে হবে। সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই চালাতে হবে রোজনামচা। এই পরিস্থিতিতে জীবনের করোনা প্রভাব ফেলবে আমাদের কাজের ধরনেও।
আমূল বদলে যাবে কর্মস্থলের সংজ্ঞা
করোনায় সব চেয়ে বেশী যে শব্দবন্ধ উঠে এসেছে তা হল ওয়ার্ক ফ্রম হোম। প্রসঙ্গত, এর আগে ওয়ার্ক ফ্রম হোম থাকলেও এত জনপ্রিয় ছিল না। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, কর্মস্থলের এই নতুন সংজ্ঞায় লাভ হবে দুপক্ষের। সংস্থাগুলিকে যেমন অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না, তেমনই কর্মচারীদের জার্নি করতে হবে না। ইতিমধ্যেই টিসিএস ইঙ্গিত দিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তারা তাদের প্রায় ৫ লক্ষ কর্মীর ৭৫ শতাংশকে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম অথবা রিমোট লোকেশন থেকে কাজ করাবে। টাটা গোষ্ঠীর এই সংস্থাটি বছরে রিয়েল এস্টেট খাতে প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা খরচ করে। তাদের ৭৫ শতাংশ কর্মীকেই যদি অফিসে না যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে তারা রিয়েল এস্টেট খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাঁচাতে সক্ষম হবে। টেক মাহিন্দ্রাও জানিয়েছে, আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত তারা ২৫ শতাংশ কর্মীকে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম করার অনুমতি দিতে পারে।
বাড়বে ইন্টারনেট ব্যবসা
ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পাশাপাশি চাহিদা বাড়বে ইন্টারনেটের ও। ইতিমধ্যেই লকডাউনে কয়েকগুন চাহিদা বেড়েছে ইন্টারনেট এর। পরবর্তীকালে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বাড়লে ফিক্সড ইন্টারনেট কানেকশন এর চাহিদা বাড়বে। ফলে এই ক্ষেত্রে রয়েছে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
খুলে যাবে নতুন দিগন্ত
যারা বাড়িতে থাকেন, অনিবার্য কারনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাদের পক্ষে অফিস-কাছারি করা সম্ভব নয় তাদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং এর নতুন দিগন্ত খুলে দেবে করোনা। বাড়ি বসেই উপার্জন করতে পারবেন যথেষ্টই।