বাংলাহান্ট ডেস্ক: শীত সবে দোরগোড়ায়। ভোরবেলা ও সন্ধ্যায় হালকা ঠান্ডার আমেজ অনুভব করা গেলেও আবহাওয়াবিদদের মতে জাঁকিয়ে শীত পড়তে এখনও ঢের দেরি। কিন্তু এখন থেকেই চুল পড়া শুরু হয়ে গিয়েছে? খুশকির সমস্যায় নাজেহাল? ভাবছেন এখনই এই অবস্থা হলে ভালরকম শীত পড়লে কী করবেন? চিন্তা নেই। সমাধান রয়েছে, তাও খুবই সহজ ও ঘরোয়া উপায়ে। চলুন তাহলে দেরি না করে চটপট দেখে নেওয়া যাক।
- নিমপাতা- হেন কোনও কাটা-ছড়া নেই যা নিমপাতা সারাতে পারে না। একথা সকলেরই মোটামুটি জানা। কিন্তু নিমপাতা যে খুশকি দূর করতেও অব্যর্থ তা কী জানা ছিল? যে ফাঙ্গাসের কারণে খুসকি হয় সেগুলির কার্যক্ষমতা নাশ করে দেয় নিমপাতা। একমুঠো নিমপাতা মিক্সিতে পেস্ট করে নিন। স্নানের একঘন্টা আগে ভাল করে সেটা মাথার স্কাল্পে ও চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। আগের গিন রাতেও মাথায় লাগাতে পারেন এই পেস্ট।
- পাতিলেবু- পাতিলেবুর রস খুশকি সৃষ্টিকারী ফাঙ্গাস দূর করতে অব্যর্থ। ব্যবহার করাও খুবই সহজ। একটি গোটা পাতিলেবুর রস নিংড়ে সেই রস সারা চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ব্যবহার করুন এই রস।
- গ্রিন টি- এক কাপ গ্রিন টি বানিয়ে তার মধ্যে মেশান কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল ও এক চা চামচ সাদা ভিনিগার। মিশ্রণটি ঠান্ডা করে ভিজে চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। গ্রিন টি-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার চুলকে রাখে সজীব ও সতেজ।
- টক দই- টক দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলের কোমলতা ও ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর নিয়মিত ব্যবহারে বিদায় নেয় খুশকিও। আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী টক দই নিয়ে দুদিন সেটা বাইরে ফেলে রাখুন। এর ফলে দইটা আরও কিছুটা টক হবে যা আপনার চুলের পক্ষে ভাল। স্নানের এক ঘন্টা আগে স্কাল্পে ও পুরো চুলে দইটা লাগান। কিছুক্ষণ রেখে তারপর ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন।
সঠিক শ্যাম্পু- খুশকি হওয়ার প্রধান কারণ মাথার স্কাল্পে আটকে থাকা নোংরা, শ্যাম্পুর অবশিষ্টাংশ বা মাথার তালু অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা শুষ্ক হওয়া। এর জন্য উচিত চুলের ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু বাছা। শ্যাম্পুর পর যথেষ্ট সময় নিয়ে চুল ধোওয়া উচিত যাতে মাথার তালুতে কোনও শ্যাম্পু লেগে না থাকে।