বাংলাহান্ট ডেস্ক: থামল সুরের মূর্চ্ছ্বনা। নক্ষত্র পতন হল ভারতীয় সঙ্গীত জগতে। সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রখ্যাত গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিং (Bhupinder Singh)। এদিন মুম্বই এর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবআদপ্রতিম শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সঙ্গীতশিল্পীর স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
সঙ্গীতশিল্পীর স্ত্রী মিতালি সিং জানান, সোমবার হাসপাতালেই প্রয়াত হয়েছেন তিনি। কোলনে সমস্যা ছিল তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দশ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ভূপিন্দর সিংকে। ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসক জানান, কোলনে সমস্যার কথা অনুমান করেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছিল।
এর মধ্যেই আবার করোনা আক্রান্ত হন সঙ্গীতশিল্পী। পরিস্থিতি আরো সঙ্কটজনক হয়ে ওঠে। সোমবার ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পীকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এদিন রাত ৭ টা ৪৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ভূপিন্দর সিং।
পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শিল্পী ভূপিন্দর সিং। বহু বছর ধরে ভারতীয় সঙ্গীত জগৎকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। গেয়েছেন দুই কিংবদন্তি শিল্পী কিশোর কুমার এবং মহম্মদ রফির সঙ্গে। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলির তালিকায় রয়েছে দো দিওয়ানে শহর মে, হুজুর ইস কদর ভি না ইতরাকে চলিয়ে, বিতি না বিতায়ি রয়না, আনে সে উসকে আয়ে বাহার, কিসি নজর কো তেরা ইন্তেজার আজ ভি হ্যায় এর মতো আরো অগুন্তি গান।
ছোট থেকেই বাড়িতে সঙ্গীত চর্চার পরিবেশ ছিল শিল্পী ভূপিন্দর সিং এর। পরিবারের সকলেই সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই এছাড়া আর কোনো কেরিয়ারের কথা তিনি ভাবতেই পারেননি কখনো। তবে ভূপিন্দর সিং এর ইচ্ছা ছিল গায়ক নন, বাদক হবেন। খুব সুন্দর গিটার এবং বেহালা বাজাতেন তিনি। তবে গিটার বাজাতে বাজাতেই গান গাওয়া শুরু করেছিলেন শিল্পী ভূপিন্দর সিং।