জম্মু কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়াত নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানীর এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে উনাকে ” আমরা পাকিস্তানি, পাকিস্তান আমাদের ” ইত্যাদি বলতে দেখা যাচ্ছে। জানিয়ে দি এই ভিডিও সৈয়দ আলী শাহ গিলনী এর নামেই উপস্থিত একটি অ-ভেরিফায়েড টুইটার একাউন্ট থেকে ২৩শে মে শেয়ার করা হয়েছিল। এই ভিডিওতে গিলানী একটি রেলিতে উস্কানিমূলক ভাষণ দিতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওয়ের শুরুতে তিনি ইনশাল্লাহ ইনশাল্লাহ এই শ্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছেন এবং লোকেদেরও সেই শ্লোগান বলাচ্ছেন। তারপর আগে তিনি বলছেন ” ইসলামের ভালোবাসা থেকে, ইসলামের সম্পর্ক থেকে আমরা পাকিস্তানি।” এই স্লোগান দেওয়া অনেক্ষন ধরে চলে।
যদিও এখনো অব্দি এটা জানা যায়নি যে এই সভা কাশ্মীরের কোন অংশে, কবে এবং কোথায় আয়োজিত করা হয়েছিল। এই ভিডিওটি দেখার পর সভার আয়োজনের সময় ও স্থান জানা খুব মুশকিল ব্যাপার।
লক্ষণীয় বিষয় এই যে, কিছুদিন আগেই জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মলিক বলেছিলেন যে হুররিয়াত নেতা কেন্দ্র সরকারের সাথে কথা বলার জন্য তৈরি হয়েছে। মলিক বলেছিল ” প্রথমে হুররিয়াত কনফারেন্স কথাবার্তার জন্য প্রস্তুত ছিল না। রামবিলাস পাসোয়ান (২০১৬ তে) তার দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। এখন তারা কথা বলার জন্য প্রস্তুত আছে এবং তারা কথা বলতে চান। কাশ্মীরের নেতাদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে।
জানিয়ে দি, হুরীয়ত নেতারা বাইরের ইসলামিক দেশ থেকে ফান্ডিং নিয়ে কাশ্মীরে মুসলিম যুবকদের জিহাদ করার জন্য উস্কানি দেয় বলে বার বার অভিযোগ সামনে এসেছে। ভারতীয় সেনার উপর পাথর ছোড়ার ঘটনাও এই নেতাদের ইশারাতেই হয় বলে দাবি করা হয়। হুরীয়ত নেতাদের কাশ্মীরের মুসলিম যুবকদের ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দিলেও নিজেদের বিদেশে পোড়ানোর জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন হুরীয়ত নেতারা সরকারের সাথে বার্তালাপে বসতে চাই। তবে ভিডিও ভায়রাল হওয়ার পর কাশ্মীরের নেতাদের উপর লোকেদের তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। লোকেদের মতে যখন তিনি নিজে এই কথা বলছেন যে তিনি পাকিস্তানি তবে তার ভারতে থাকার কোনো অধিকার নেই, তাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। জনগণের দাবি ভারত সড়কার যেন হুরীয়ত নেতাদের কোনোরকম বার্তা না করে।