বাংলা হান্ট ডেস্ক : অদম্য সাহস সংকল্প এবং মনের জোর থাকলে হিমালয়কে জয় করা যায়, আমাদের দেশে এমনই সব প্রতিভাবান খেলোয়াড় শিল্পী এবং বিশিষ্ট মানুষ জন রয়েছেন যাঁরা তাঁদের জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে মনের জোর ও সাহস নিয়ে আজ বিশ্বের দরবারে খ্যাতি কুড়িয়েছেন৷ তাই তো দুই পা না থাকা সত্ত্বেও ইংলিশ চ্যানেল পার করে নজির গড়েছেন আবার কেউ মাত্র দুটি পায়ে সাহায্যে পাইলট হয়েছেন৷ তেমনই আমাদের দেশের অন্যতম নজির গিরিশা হোসেন গড়, যাঁর জীবনের কাহিনিই দেশ থেকে বিশ্বের মানুষকে কাঁদিয়ে দিয়েছে৷
জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী ছিলেন, আর পাঁচজন সাধারণ ছেলেমেয়ের মতো তিনি হাঁটতে পারতেন না তাই জীবনটাকে খুব কঠোর বাস্তবের মধ্য দিয়ে দেখেছিলেন৷ কিন্তু চড়াই উতরাই পার করে আজ তিনি একজন সফল খেলোয়াড়৷ সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে লং জাম্পে একজন অন্যতম খেলোয়াড়ের তকমা পেয়েছেন, যদিও প্রথমে তিনি সেভাবে খেলার দিকে মন দিতে পারেননি, কিন্তু পরবর্তীকালে সাফল্য পেয়েছেন৷
2006 সালে প্রথম আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রতিবন্ধীদের জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জের পদক জয় করেছিলেন, তাঁর ঠিক ছয় বছর পরে কুয়েত এবং মালয়েশিয়া অ্যাথলিট তাঁর ঝুলিতে উঠেছিল স্বর্ণপদক৷ এর মাঝেই তিনি ব্যাংকের চাকরি পান কিন্তু প্র্যাক্টিসের জন্য সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন তার পর শুরু হয় তার প্রশিক্ষণ৷ দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য খেলায় মনোনিবেশ করেন৷ এর পর লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্যারা অলিম্পিক গেমসে পুরুষদের হাইজাম্পে গিরিশ রুপোর পদক জয় করেছিলেন৷
1.74 মিটারে এক ইতিহাস রচনা করেছিলেন তিনি, তার পর প্যারা অলিম্পিক্সে পদক জেতার পর ইচ্ছাশক্তি আরও বেড়ে গিয়েছিল৷ এরপর তিনি তাঁর জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন তাই দুবাইতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হুইলচেয়ার এবং এম্পটি স্পোর্টস ফেডারেশন গেমসে সোনার পদক জয় করেন৷ সত্যিই ভারতীয় খেলার ইতিহাসে গিরিশ একজন আইকন বটে, যিনি সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে ছাপিয়ে আজ সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন৷