ভারত সহ উপমহাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারন হিসাবে দায়ী করা হয় পুত্র সন্তানের চাহিদাকে। উপমহাদেশের এখনো অনেক পিতামাতাই মনে করেন পুত্র সন্তান পরিবারের আর্থিক সমৃদ্ধির কারন। কন্যা জন্ম দেওয়ার জন্য একবিংশ শতাব্দীতেও মাকে শুনতে হয় গঞ্জনা। কিন্তু পশ্চিমের দেশগুলিতে এই প্রবণতা খুবই কম।
কন্যা সন্তানের আশায় ১৪ টি পুত্র সন্তানের দেওয়ার পর ফের সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকার ডেট্রয়েটের বাসিন্দা সোয়ানডাট দম্পতি। অবশেষে তাদের কোল আলো করে জন্ম নিয়েছে ম্যাগি। যাকে ঘিরে এই মুহুর্তে উৎসবের আবহ পরিবার জুড়ে। কাটেরি সোয়ানডট ও তার স্বামীর মতোই পরিবারের নতুন সদস্যাকে নিয়ে খুশি তার ১৪ দাদাও।
কিশোরী বয়সেই কাটেরি সোয়ানডটের সাথে আলাপ জায় সোয়ানডটের। সেই প্রেমই পরিণয়ের পরিনতি পায় ১৯৯৩ সালে। স্নাতক হওয়ার আগেই তিন সন্তানের জন্ম দেন কাটেরি। কিন্তু একবারও কোল আলো করে আসে নি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। কন্যা সন্তানের আশায় আরো ১১ সন্তানের জন্ম দিলেও সেই আশা পূরণ হয় নি। এবার ১৫ তম সন্তান হিসাবে জন্ম নিল ম্যাগি।
ম্যাগিকে পেয়ে আত্মহারা মা। তাকে এই বছরের সেরা উপহার হিসাবে মনে করছেন তিনি। তাকে নিয়ে আনন্দিত তার সবচেয়ে বড় দাদা ২৮ বছরের টাইলার সোয়ানডটও। পরিবারের সকলের জীবনই এখন ছোট্ট ম্যগিকে ঘিরে। তার ঘুম, খাওয়া, কান্না নিয়ে আলোচনা করতেই ব্যস্ত সবাই। ছোট ম্যাগি যেন এই পরিবারের জিয়নকাঠি। তার যাদু স্পর্শেই জেগে উঠেছে গোটা পরিবার