বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তুর্কির কমান জেলায় বেরামজু গ্রামে ২৪ বছর বয়সী যুবতী উইলডেন ইনস আর তাঁর ২৫ বছর বয়সী উসমান সিলিককে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। এরপর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। উল্লেখ্য, যুবতীর পরিবার তাকে নিজের চাচাতো ভাইকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু যুবতী সেটা করতে রাজি হয়নি। সে নিজের বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। আর এই কারণে সে নিজের বয়ফ্রেন্ডের সাথে দুই মাস আগে বাড়ি ছেলে চলে যায়।
উইলডেন ইনস আর তাঁর বয়ফ্রেন্ড উসমান সিলিক বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর যুবতীর পরিবার তাঁদের খোঁজ শুরু করে। কিন্তু তাঁদের কোনোভাবেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে একটি পার্টির মধ্যে দুজনের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর যুবতীর পরিবার তাঁদের বাড়ি ফিরে আসার জন্য বলে, আর আশ্বস্ত করে যে তাঁরা সমস্যার সমাধান করে ফেলবে। এরপর যুবতী তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসার জন্য রাজি হয়ে যায়।
উইলডেন আর তাঁর বয়ফ্রেন্ড উসমান যখন যুবতীর বাড়িতে পৌঁছায়, তখন সমস্ত পরিবার তাঁদের বিরুদ্ধে হয়ে যায়। অভিযোগ, উইলডেনকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে চাকু দিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এরপর তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে নগ্ন করে তাকে ধর্ষণ করে তাকেও খুন করা হয়।
এরপর খুনিরা দুজনের দেহ গ্রামের বাইরে একটি ফাঁকা জায়গায় পুঁতে দেয়। যুবতীর বয়ফ্রেন্ড উসমান বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়ি না পৌঁছানোয় তাঁর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা করে। এরপর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ তদন্তে করে উসমানের গার্লফ্রেন্ডের পরিবারের প্রতি সন্দেহ করে। এরপর পুলিশ যুবতীর পরিবারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে। পুলিশ এরপর যুবতীর আরও দুজন আত্মীয়কে গ্রেফতার করে। এখনো মামলার তদন্ত চলছে।