বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় (Rape Case) কেঁপে উঠেছে বাংলা। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তার মধ্যেই জয়নগর কাণ্ড, নিউ টাউন কাণ্ডের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। গত ডিসেম্বর মাসে যেমন কলকাতার বড়তলার ফুটপাথ থেকে তুলে নিয়ে এক ৭ মাসের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এবার অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।
সাজা ঘোষণা কবে (Rape Case)?
গত ডিসেম্বর মাসের এক দুপুরে বড়তলা থানা অঞ্চলের ফুটপাথে শুয়ে কাঁদছিল এক শিশুকন্যা। তাঁর গোপনাঙ্গে একাধিক ক্ষত ছিল। স্থানীয়রা সেই শিশুকে (Girl Child) উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষা করার পর যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
৭ মাসের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণ (Rape Case) এবং খুনের চেষ্টার এই ঘটনার তদন্তে নেমে রাজীব ঘোষাল (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অণ্ডাল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয় ধৃতের বিরুদ্ধে। ঘটনার ২৬ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ‘আধার, ভোটার কার্ড থাকলেই ভারতীয় নাগরিক কীভাবে প্রমাণ হয়?’ বড় প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
গেট প্যাটার্ন মেথড এবং রাইট ব্লকার সিস্টেম ব্যবহার করে তদন্তে সাফল্য পান গোয়েন্দারা। সেই সকল তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে আদালতে জমা করে পুলিশ (Police)। এবার এই ঘটনার ৪০ দিনের মাথায় অভিযুক্ত রাজীব ঘোষালকে দোষী সাব্যস্ত করল ব্যাঙ্কশাল আদালত। সোমবার ওই অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামীকাল বেলা ১:৩০টা নাগাদ শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে গত বছর ডিসেম্বর মাসে বড়তলা অঞ্চলের ফুটপাথ থেকে যেদিন ওই শিশুকন্যা উদ্ধার হয়েছিল, সেদিনই থানায় ৭ মাসের শিশুকন্যা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফুটপাথ নিবাসী একজন দম্পতি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই শিশুকন্যাটির খোঁজ মেলে। তাঁকে যেখান থেকে পাওয়া গিয়েছিল, তার ১০০ মিটার দূরেই ওই শিশুটির মা-বাবা থাকতেন। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেতেই সঙ্গে সঙ্গে এসে মেয়েকে শনাক্ত করেছিলেন তাঁরা।
এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৫ (২), ১৩৭ (২) ও পকসোর ৬ নং ধারায় একাধিক মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, রাস্তার একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই যুবককে চিহ্নিত করেছিলেন গোয়েন্দারা। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর নিবাসী ওই যুবককে এরপর গ্রেফতার করা হয়। এদিন তাঁকেই শিশুকন্যা ধর্ষণের (Rape Case) এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। অন্যদিকে নির্যাতিতা শিশুটির এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।