বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে বিয়ের দাবিতে ধর্না ধুপগুড়ির তরুণীর কথা অনেকেরই স্মরণে থাকবে। সেই তরুণী বিবাহের দাবিতে ছয় বছর ধরে প্রেম করা প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিলেন। তার দাবি ছিল যে চাকরি পাওয়ার পরে আচমকাই তার প্রেমিক তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং তাদের সম্পর্ক সেখানেই শেষ করতে চায়। তাই প্রতিবাদস্বরূপ প্রেমিকের বাড়িতে ধর্নায় বসেছিলেন তিনি। অবশেষে নাছোড় তরুণীর ইচ্ছেপূরণ হল!
গত ১২ই মে খুঁটিমারিতে ওই তরুণী এবং তাঁর ছয় বছরের পুরনো প্রেমিকের বিবাহ সম্পন্ন হলো। স্বল্প সময়ের মধ্যে যাবতীয় জোগাড়যন্ত্র করে জাঁকজমক পূর্ণ আয়োজনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন শুভঙ্কর এবং সঙ্গীতা। ব্যান্ডপার্টি-সহ সঙ্গীতার বাড়িতে বিবাহের জন্য উপস্থিত শুভঙ্কর। তাদের বিয়ের সাক্ষী ছিলেন দুই পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি।
সঙ্গীতা ও শুভঙ্কর প্রেম করছেন দীর্ঘদিন। তাদের দুজনের বাড়ির সকলেই তাদের সম্পর্কের বিষয়ে অবগত ছিলেন। কিন্তু তারপরেও ধুপগুড়ির কালীরহাটের বাসিন্দা শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরি পেয়েই সঙ্গীতাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন শুভঙ্কর রায়। গত ১লা এপ্রিল অন্য একজনের মাধ্যমে শুভঙ্কর তাকে জানায় যে তিনি আর এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না।
ঘটনায় অবাক সঙ্গীতা প্রথমে ধর্নায় বসেন। শুভঙ্করের পরিবারও স্বীকার করে তাদের দুজনের সম্পর্কর ব্যাপারে। তারা বলেন এমন সিদ্ধান্ততে তাদের কোনও অবদান নেই। এরপর শুভঙ্করকে বোঝানোর চেষ্টা করে সঙ্গীতা। কিন্তু তখনও বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শুভঙ্করের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন সঙ্গীতা। এর পরেই বেকায়দায় পরে শুভঙ্কর কিছুটা নরম হন। দুই বাড়ির মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়। অবশেষে বিয়েতে রাজি হয়ে যান শুভঙ্কর।