এবার গীতার শ্লোকের অপব্যাখ্যা বাংলাদেশে! “ভারত” শব্দের মধ্যে দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের (Bangladesh) বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের একাংশের উদ্যোগে সেদেশে তৈরি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। নয়া দলের সূচনা অনুষ্ঠানে কোরানের সাথে সাথে পাঠ করা হয় গীতাও। ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রথমদিন থেকেই বলে আসছে সর্বধর্মসমন্বয়ই তাদের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশে (Bangladesh) গীতার ভুল ব্যাখ্যা:

সেই উদ্দেশ্যেই দলের সূচনা লগ্নে কোরানের পাশাপশি দলের নেতারা পাঠ করেন গীতার (Gita) চতুর্থ অধ্যায়ের একটি শ্লোক। জাতীয় নাগরিক পার্টির সূচনা লগ্নে দলের নেতারা গীতা থেকে পাঠ করে শোনান- ‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যুত্থানম অধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্। পরিত্রাণায় হি সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতাম। ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে’ শ্লোকটি।

আরও পড়ুন : রাজনীতির ময়দানে পা রাখছেন ‘মিঠাই’? তৃণমূলের হয়ে লড়বেন ঋত্বিকাও? মুখ খুললেন দুই নায়িকা

এবার বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীদের রোষানলে শ্লোকের ‘ভারত’ শব্দটি। সেদেশের মৌলবাদীদের দাবি, এই  শ্লোকে ‘ভারত’ শব্দটির মাধ্যমে আদতে গুণগান করা হয়েছে বর্তমান ভারত প্রজাতন্ত্র বা ইন্ডিয়ার। গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের এই শ্লোকে ‘ভারত’ বলতে আদতে ঠিক কী বুঝিয়েছেন কৃষ্ণ? পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী জানিয়েছেন, ‘রাজা ভরতের বংশধর অর্জুন। তাঁকেই ভারত বলে সম্বোধন করেছেন শ্রী কৃষ্ণ’।

আরও পড়ুন : বদলে গেল পূর্বাভাস! আজ ফের ঝেঁপে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়: আবহাওয়ার খবর

পুরাণবিদের মতে, সেই সময়ে ভারত নামক আলাদা কোনও দেশ ছিল না। বর্তমান ভারতীয় ভূখণ্ড খ্যাত ছিল আর্যাবর্ত নামে। নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী জানান, গীতার এই শ্লোকের বাংলা অর্থ হল – “হে অর্জুন যখনই ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে, আমি অবতীর্ণ হই।” এই শ্লোক বিশ্লেষণ করলে অর্থ দাঁড়ায়, যখনই এই বিশ্বে অধর্মের আগমন ঘটবে তখনই নানা রূপে ধরাধামে অবতীর্ণ হবেন বিষ্ণু। সৎ ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের রক্ষা করবেন তিনি।

Gita Misinterpretation in Bangladesh

 

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মানিক মিয়াঁ অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি বা এনসিপি)। সেদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। এরপর মঞ্চে দলের নেতারা প্রথমে কোরান ও তারপরে একে একে পাঠ করেন গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটকের মতো ধর্মগ্রন্থগুলিও।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর