বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভাবনীয় আবিষ্কার এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে যারা বারবার দুনিয়াকে চমকে দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম যে চিন এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। একাধিক নজরকাড়া আবিষ্কারে বারবার দুনিয়াকে হতভম্ব করে ছেড়েছে তারা। কিন্তু চিনা জিনিসের নাম শুনলেই একদিকে যেমন আমাদের মাথায় আসে অবাক করা সব আবিষ্কারের কথা, সাথে সাথেই প্রশ্ন ওঠে জিনিস তো ভালো টেকসই হবে তো? চিনা মালের যে গ্যারান্টি নেই এ কথা প্রায় প্রবাদে পরিনত হয়েছে বাংলায়। সম্প্রতি চিনের এক ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও বারবার ঘুরেফিরে একই কথা।
পর্যটকদের আকর্ষণ করতে লংজিন শহরে পিয়াং মাউন্টেনের উপর ৩৩০ ফুট উচ্চতায় সম্পূর্ণ কাঁচের তৈরি গ্লাস ব্রিজ বানিয়েছিল চীন। পর্যটকদের কাছেও এই ব্রীজ ছিল ভীষণই আকর্ষণীয়। কিন্তু শুক্রবার দা সনের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, লংজিন শহরে এদিন ঘন্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে একটি বিশাল ঝড় বয়ে যায়। আর এই ঝড়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয় চীনের ওই অত্যাশ্চর্য ব্রীজটি। বেশকিছু কাঁচের টুকরো ভেঙে পড়ে। শুধু তাই নয় সেই সময়ে ঐ ব্রিজে ঘুরতে এসে আটকে পড়েন এক পর্যটকও। জানা গেছে, এই অবস্থায় আটকে পড়ে ব্রীজের রেলিং ধরে অনেকক্ষণ ঝুলে থাকতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত ফায়ার ব্রিগেড, পর্যটন বিভাগ এবং পুলিশের কাছে খবর আসায় সুস্থ অবস্থাতেই ব্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। যদিও সাথে সাথেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কারণ এই ঘটনা মানসিকভাবে তাকে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটা ভাইরাল হতেই উঠে এসেছে নানান রকম মন্তব্য। তার মধ্যে অনেকেই মন্তব্য করছেন চীনের মাল কোনভাবেই টেকসই নয়। এর উপর বিশ্বাস করা মানেই ধোঁকা। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন ব্রিজের সঙ্গে জড়িত থাকায় ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়েও। অনেকেই জানতে চাইছেন শহরে এ ধরনের ঝড় আসে এ কথা মাথায় রেখে কেন ব্রিজটিকে আরো মজবুত করে গড়ে তোলা হলো না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু লংজিন শহরই নয় চীনের হুনান প্রান্তে চাংচিয়াচিয়ে শহরেও রয়েছে একই ধরনের একটি কাচের ব্রিজ। যা লম্বায় ৪৩০ মিটার এবং চওড়ায় প্রায় ৬ মিটার। ২০১৬ সালের পর থেকে গোটা চীন জুড়ে প্রায় ৬০ টি কাঁচের ব্রিজ তৈরি করা হয়। তবে এই ঘটনার পর তা আদৌ কতখানি নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।