গুজরাতের গান্ধীনগরে ২৮শে জানুয়ারী ২০২০ তে অনুষ্ঠিত হওয়া তৃতীয় গ্লোবাল পোট্যাটো কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ( Narendra Modi ) জানালেন যে আগামী একবিংশ শতাব্দীতে কোন মানুষ যেন অভুক্ত এবং অপুষ্টির শিকার না থাকে। এবং এর দায়িত্ব আমাদের সবাইকে একসাথে নিতে হবে। এই কনক্লেভে পিএম মোদী একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তিনি জানান যে এগ্রিকালচার সেক্টরে আধুনিক বায়োটেকনোলজি, আরটিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ব্ল্যাক চেন, ড্রোন টেকনোলজির মত উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে আমরা কৃষি টেকনোলজিকে উন্নত করতে পারি। এবং এই ব্যাপারে আপনাদের সমস্ত মতামত এবং সমাধান সুত্র অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমানে ভারত সরকারের লক্ষ্য কৃষি টেকনোলজিকে উন্নত জায়গায় নিয়ে গিয়ে কৃষি ভিত্তিক স্টার্ট আপ গুলিকে উজ্জীবিত করা।
কৃষক এবং ক্রেতাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের সরানো এবং ফসলের মান উন্নত করা এখন আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য, এবং এর জন্যই সনাতন কৃষি ব্যাবস্থাকে সাহায্য করা হচ্ছে। এই মাসের শুরুর দিকে এক সাথে ৬ কোটি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাঊণ্টে ১২ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়ে ভারত সরকার এক নতুন রেকর্ড গড়েছে। এছাড়াও ফুড প্রসেসিং সেক্টরেও সরকার অনেক উন্নতি সাধন করেছে।
২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পলিসি নিয়ে আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকটি খাবারের এবং খাদ্য উৎপাদনে ভারত বিশ্বের সেরা ৩ টি দেশের মধ্যে রয়েছে। এবং সেই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদী, আলু অনুসন্ধান এবং ব্যাবসার দিকে নজর দিয়েছেন। আলু উৎপাদন এবং চাষের উন্নতির দিকে সমগ্র দৃষ্টিকোণ রেখে একটি রোডম্যাপ নির্ধারণ করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কি হয় এই কার্যক্রমের ধাপগুলি-
এই কার্যক্রমে প্রত্যেক ১০ বছর অন্তর আলুর চাষে পাওয়া উপলব্ধির উপর কাজ করা হবে। তার সাপেক্ষেই পরের দশকের রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হবে। বিগত দুই দশকে ১৯৯৮ এবং ২০০৮ এ আলু সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সমস্ত স্টকহোল্ডারদের একটি ভাল মঞ্চ দেওয়া হয়, যাতে তারা নিজেদের মতামত জানানোর সুযোগ পান। এই সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয় যাতে পরবর্তী যোজনাগুলির উপর কাজ করা যায়।