বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাগুইআটিতে (Baguiati) পৌঁছেই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিহতদের বাড়ি যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। এমনকি উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বাধ্য হয়েই ফিরে গেলেন তিনি। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তাঁর দেখা করা আর হল না।
মুক্তিপণ না পেয়ে বাসন্তী হাইওয়েতে চলন্ত গাড়িতে খুন করা হল দুই ছাত্রকে। একজনের দেহ পাওয়া গেল ন্যাজাটে, আর একজনের মিনাখাঁয়। পুলিসের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ পরিবারের। মূল অভিযুক্তের বাড়িতেও ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। বাগুইআটি জোড়া খুনের কাণ্ডে এই মুহুর্তে তোলপাড় গোটা শহর।
ঘটনার সূত্রপাত ২২ অগস্ট। ওই দিন হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় বাগুইআটির জগৎপুর খাল পাড়ের বাসিন্দা দুই ছাত্র। তাদের নাম, অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় এক কোটি টাকা মু্ক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। এরপরই অভিযোগ দায়ের করা হয় বাগুইআটি থানায়। এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিস। কিন্তু মূল অভিযু্ক্ত সত্যেন্দ্র-সহ আরও ২ জন এখনও পলাতক। এই ঘটনার প্রথম গ্রেফতার করা হয় অভিজিৎ বসুকে। পুলিশি জেরায় সে জানায়, বাসন্তী হাইওয়ের পর চলন্ত গাড়িতে অতনু ও অভিষেককে খুন করেছে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র এবং আরও বেশ কয়েকজন। এরপর নয়ানজুলিতে দুটি আলাদা জায়গায় ফেলে দেওয়া হয় তাদের মৃত দেহ। এদিন বসিরহাট মর্গে গিয়ে অতনু ও অভিষেকের দেহ শনাক্ত করেন তাদের পরিবার।
রাত তখন ৯ বেজে ১৫ মিনিট। বাগুইআটিতে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেননি তিনি! মাঝ-রাস্তাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটকে দেন এলাকার মানুষ। তাঁদের পরিস্কার দাবি, ‘এখানে কোনও রাজনীতি ঢুকবে না’। তারপরও মিনিট পনেরো অপেক্ষা করেন সুকান্ত। এরপর বাধ্য হয়েই ফিরে যান তিনি।
স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র-র বাড়ি বিহারের সীতামারিতে। বছর কয়েক ধরে বাগুইআটিতে থাকত সে। অতনুদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই মোটর পার্টসের দোকান সত্যেন্দ্রর। বছর চারেক আগে সে প্রেম করে বিয়েও করে অতনুদের পাড়ায়। সেই সূত্রে অতনুর সঙ্গেও মেলামেশা ছিল।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান কথাবার্তায় অত্যন্ত ভদ্র ছিল সত্যেন্দ্র। তবে অভিযোগ উঠছে অল্পবয়সী ছেলেদের বাইক কিনে দেওয়ার নামে করে তাদের কাছ থেকে টাকাও নিত সত্যেন্দ্র।