বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন বলিউড (Bollywood) অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ (Naseeruddin Shah)। তিনি ভারতে (India) গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করেছেন। তিনি বলেন, দেশের সব কিছুই মুসলমানদের ভয় দেখানোর জন্য করা হচ্ছে। গির্জা-মসজিদ ভেঙে ফেলা হচ্ছে, ভাবুন তো মন্দির ভাঙা হলে কেমন লাগবে? নাসিরুদ্দিন শাহ মনে করেন, যারা মুসলমানদের গণহত্যার ডাক দিচ্ছে তাঁরাই দেশে গৃহযুদ্ধের ডাক দিচ্ছে। তিনি বলেন, শাসক বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রচার করছে এবং ঔরঙ্গজেবকে অপমান করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তিনি মুঘলদের উদ্বাস্তু বলেও আখ্যা দেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। সাক্ষাৎকারে শাহ হরিদ্বারে ধর্ম সংসদ সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেছেন তিনি। পাশপাশি তিনি মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শও দেন। তিনি বলেন, আমাদের ২০ কোটি মানুষের কাছে এটা মাতৃভূমি। আমরা ২০ কোটি মানুষ এখানকারই। মুসলমানদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানানো হচ্ছে। আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে হবে। আমি ধর্মের কথা বলছি না এবং এর আগেও কখনো বলিনি। দেশে এখন ধর্ম সহজেই বিপন্ন হয়ে যায়। এ ধরনের প্রচারণা শুরু হলে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে উঠবে এবং জনগণ ক্ষোভ ফেটে পড়বে।
নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, দেশে যখন হিন্দুদের জনসংখ্যা বেশি, তখন হিন্দুরা বিপদে পড়েছে কী করে বলা হচ্ছে। আমাদের শান্তিতে বসবাস করতে দিন। যে ব্যক্তি আমাকে পাকিস্তানে যেতে বলছে তাকে আমি বলি, আপনি কৈলাসে যান না কেন? উর্দুকে পাকিস্তানি ভাষা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। এত বছরে রাজনীতি এতটা নিচে নেমে যায়নি। যারা আজ ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের ভবিষ্যত কী আছে, তা জানা নেই।
নাসিরুদ্দিন শাহ আরও বলেন, যতই বিদ্বেষ ছড়ান না কেন, ভয়ে পালাবো না। একে অপরের ধর্মের প্রতি অসহিষ্ণুতা তৈরি করা হচ্ছে। গির্জা ও মসজিদ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। যারা করছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ভাবুন তো মন্দিরে এমনটা হলে কেমন লাগবে। আমার ঈশ্বর তোমার আল্লাহর চেয়েও বড় এমনটাই বলা হচ্ছে।
ধর্ম সংসদের বিষয় নিয়ে এই সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, এখন যা ঘটছে তা দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। এ বিষয়ে সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা। তিনি বলেন যে, যা কিছু করা হচ্ছে তা হল মুসলমানদের অসুরক্ষিত বোধ করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট উপায়।