সাইকেল চালিয়ে অফিস যান তবে অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার গ্যারান্টি আমি দিতে পারি না: মমতা ব্যানার্জী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) বলেন ‘সাইকেল নিয়ে রাস্তায় নেমে যদি কারোর কিছু হয় তাহলে দায় সাইকেল চালকেরই’। করোনার জন্য দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। আর লকডাউন শুরু হওয়া থেকে বাড়িতেই বসে অফিসের কাজ করছিলেন সবাই। কিন্তু লকডাউন শিথিল হতেই অফিস যাওয়া শুরু হয়। কিন্তু মেট্রো ও ট্রেন তো বন্ধ। যাবেই বা কি ভাবে? আগত্যা পা হাঁটা বা সাইকেল ছাড়া গতি নেই। অফিসে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করতে সোমবার নবান্নে বসে সাইকেল নিয়ে এমনই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, সাইকেল নিয়ে রাস্তায় নেমে যদি কারোর কিছু হয় তাহলে দায় সাইকেল চালকেরই।

এই দিন মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হাজার পাঁচেক সরকারি বাস চালাচ্ছি। তার সঙ্গে বেসরকারি বাস চলছে, ট্যাক্সি অটোও চলছে। তবু মেট্রো রেল ও ট্রেন না চলায় অনেকের সমস্যা হচ্ছে তাই আমরা কলকাতা পুলিশকে বলেছি, কলকাতায় কোন কোন রাস্তায় সাইকেল চালানো যেতে পারে তার তালিকা তৈরি করতে। কোন কোন রাস্তায় গেলে অ্যাক্সিডেন্ট হবে না’।

corona 2004110303 20200412014705

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার গ্যারান্টি তো আমি দিতে পারি না। যে চালাবে তাকে নিতে হবে। সবাইকেই নিতে হবে। বিদেশে সাইকেল চালানোর জন্য রাস্তায় আলাদা জায়গা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে তা নেই। তাই ছোট ও মাঝারি রাস্তায় কীভাবে সাইকেল চালাতে দেওয়া যায় তা ভেবে দেখতে বলা হয়েছে।’

সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘জীবন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। একটু অফিসে যেতে দেরি হলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। কিন্তু একটা জীবন অকালে শেষ হয়ে গেলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।‘ বলে রাখি, সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে খুলে গিয়েছে সমস্ত-অফিস কাছারি। ট্রেন বন্ধ থাকায় অফিসে পৌঁছতে নাভিশ্বাস উঠেছে অনেকেরই। পথে শিকেয় উঠেছে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। পথে যাঁরা বেরিয়েছেন তাঁদের অভিযোগ, ট্রেন তো বন্ধ, তার ওপর পর্যাপ্ত বাস নেই।

সম্পর্কিত খবর