বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোয়ায় আইপ্যাক অধিকৃত একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার এক কর্মীকে।জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতে গোয়ার পুরভরিম এলাকায় আইপ্যাক অধিকৃত আটটি বাংলোতে অভিযান চালায় গোয়া পুলিশ। এই আটটি বাড়ির মধ্যে থেকে একটিতে উদ্ধার হয় মাদক দ্রব্য। উদ্ধার হওয়া মাদককে গাঁজা বলেই সন্দেহ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।অভিযুক্ত ওই ২৮ বছর বয়সী যুবক যে বাড়িটিতে থাকছিলেন সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তা। ঘটনায় এনডিপিএস আইনে মামলা রজু করা হয়েছে।
রাত পোহালেই বিধানসভা নির্বাচন গোয়ায়। সেই কারণেই শেষ মুহুর্তের তুমুল ব্যস্ততা রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে। বাংলায় আইপ্যাক এবং তৃণমূল দ্বন্দ্ব চরমে। আইপ্যাক কর্তা জানিয়েছিলেন বাংলা, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করবে না সংস্থা। কিন্তু এখনও গোয়ায় হাতে হাত রেখেই কাজ করছে তৃণমূল-আইপ্যাক। ভোটের আগে সে রাজ্যে তৃণমূলের প্রচারও নজর কেড়েছে বেশ। ধীরে ধীরে গোয়ায় শক্তিবৃদ্ধি করছে তৃণমূল। এহেন পরিস্থিতিতে আইপ্যাক অধিকৃত বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলে তাদের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করবে বলেই মনে করছিলেন অনেকে।
কিন্তু উলটো সুর তৃণমূলের গলায়। ব্যাপারটিকে পাত্তা দিতে মোটেই রাজি নয় তারা৷ রাজ্যে তৃণমূল আইপ্যাক সংঘাতের জেরে দূরত্ব বেড়েছে বেশ অনেকটাই। তাই পুরো ঘটনাটির দায়ই আইপ্যাকের ঘাড়ে চাপিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের দাবি, ‘পুরোটাই আইপ্যাকের আভ্যন্তরীণ বিষয়’। গোয়ায় সম্পুর্ন ভাবে তৃণমূলের হয়ে কাজ করলেও কার্যতই তাদের একপ্রকার ত্যাজ্য করেছে ঘাসফুল শিবির।
২০১৭ এর গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৪০ টির মধ্যে ১৭টি আসন পেলেও সরকার গঠন করতে পারেনি তারা। বদলে সরকার গঠন করে ১৩ আসনে জেতা বিজেপি। এরপর এবারের নির্বাচনে সে রাজ্যের শাসকদের বিরুদ্ধে শক্তি বাড়াতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস৷ নজর কেড়েছে নির্বাচনী প্রচারও। তাই ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থার অধিকৃত বাড়ি থেকে এই মাদক উদ্ধারের ঘটনাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসেবেই দেখতে চাইছেন কেউ কেউ।প্রসঙ্গত, গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি। ফল প্রকাশ হবে ১০ মার্চ।