‘দলকে ব্যবহার করেছেন পিকে’, বড়সড় অভিযোগ এনে দল ছাড়লেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একুশের শেষ লগ্নে গোয়া দখলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ঘাসফুল শিবির। সেই গুরু দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর টিমকেই। কিন্তু তীরে এসে তরীর ভরাডুবি হয়। সৈকত রাজ্য দখল তো দূর, একটি আসনও দখল করতে পারেনি তৃণমূল। ৩ মাসের জোরকদম প্রস্তুতির পরও মাত্র ৫% এর সামান্য বেশি ভোটই পায় তারা। এরপর ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরই তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া খুলে বিজেপির হাত ধরে জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি। ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন গোয়ার একাধিক তৃণমূল নেতা। এবার দলত্যাগ করলেন খোদ গোয়া তৃণমূলের সভাপতি কিরণ কান্দোলকর। প্রশান্ত কিশোরকে সরাসরি দুষেই দলত্যাগী হলেন তিনি।

দল ছাড়ার সমস্ত দায় প্রশান্ত কিশোরের উপরেই চাপিয়েছেন ওই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ছেড়ে গত বছর নভেম্বর মাস নাগাদ তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কিরণ কান্দোলকর। ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি তাঁকে সৈকত রাজ্যের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর গোয়ার আলদোনা কেন্দ্র থেকে তৃণমুলের হয়ে ভোটে দাঁড়ালেও খুব একটা কিছুই যে করা উঠতে পারেননি তা বলাই বাহুল্য। এবার সমস্ত কিছুর জন্যই পিকেকে দুষে দল ছাড়লেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে কিরণ কান্দোলকরের দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ তাঁরা আইপ্যাককে গোয়ায় ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। প্রশান্ত কিশোর আইপ্যাকের প্রধান। যদি কেউ ব্যর্থ হয়, তবে তিনি হলেন প্রশান্ত। নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে আমরা ব্যর্থ হইনি। গোয়াতে আইপ্যাকের রাজনৈতিক কৌশল বলে কিছু ছিল না। প্রশান্ত গোয়ায় এসেছিলেন কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য। কংগ্রেসের ক্ষতি করার জন্য তৃণমূলকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।’

খোদ রাজ্য সভাপতির পদত্যাগে যে কার্যতই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস তা বলাই বাহুল্য। যদিও কিরণ কান্দোলকর পদত্যাগ করলেও কোন দলে যোগ দেবেন তিনি তা অবশ্য কিছুই জানা যায়নি। ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়াই এখনও পাওয়া যায়নি প্রশান্ত কিশোর এবং তৃণমূলের তরফে।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর