৬ লক্ষ টাকার গাছ খেয়ে ফেলেছে ছাগল! পঞ্চায়েতের আজব দাবি শুনে হতবাক সকলে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লক্ষ টাকার গাছ খেয়ে ফেলল ছাগলে! এমন অবাক কাণ্ড কখনও শুনেছেন কী! না? তবে শুনুন, ইসলামপুরে (Islampur) প্রায় ৬ লক্ষ টাকার গাছ খেয়ে ফেলেছে ছাগল। ঠিক এমনটাই দাবি ইসলামপুর ব্লকের গাইসাল-১ (Gaisal) গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। প্রশাসনের দাবি শুনে হতবাক সকলে।

ঠিক কী জানা যাচ্ছে? ১০০ দিনের কাজে আওতায় গাইসাল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রাস্তার দুই ধারে গাছ লাগানোর কথা ছিল। তারমধ্যে একটি রাস্তা ভাঙাপুল থেকে কালীথান পর্যন্ত এবং অন্যটি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে তিস্তা ব্রিজ পর্যন্ত। কথামত সেখানে গাছ লাগানো হয়েছে বলেও দাবি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। কিন্তু কোথায় সেই গাছ! গাছের পরিবর্তে রাস্তার দুধারে লাগানো রয়েছে কেবল কাজের বোর্ড। তবে দূরদূরান্ত পর্যন্ত নেই সেসব গাছের চিহ্ন মাত্র। বোর্ডে লেখা রয়েছে, এই দুই রাস্তায় গাছ লাগানোর জন্য ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে মত ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৩০ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত প্রধান নাফিসা আলমিনের স্বামী মহম্মদ সাব্বির আহমেদ জানান, “গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সব গাছ ছাগল খেয়ে ফেলেছে।” তবে এত টাকার গাছ কিভাবে ছাগল খেয়ে ফেলতে পারে? কেন পঞ্চায়েত তরফে নজরদারি রাখা হয়নি? এসব প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী।

পুরো ঘটনায় পঞ্চায়েতের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকার লোকজন। এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, “এখানে কোনও গাছ লাগানো হয়নি। পঞ্চায়েতের লোকজন সব টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে। যদি এত টাকার গাছ লাগানোই হয় তাহলে সেই গাছ গেল কোথায়? আমার তো কোনও গাছ দেখতে পাচ্ছি না।”

পাশাপাশি, অন্য এক বাসিন্দার অভিযোগ, “আমাদের মতো গরিব মানুষকে শুধু বোকা বানাচ্ছে। তিন লক্ষ তো দূরের কথা পঞ্চাশ হাজার টাকারও গাছ লাগানো হয়নি। এতবড় রাস্তায় কয়েটি মাত্র গাছ লাগিয়েছিল। তার মধ্যে বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গাছগুলির পরিচর্যার জন্য কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। তাই গোটা রাস্তায় এখন হাতেগোনা দুই থেকে তিনটি গাছ মাত্র চোখে পড়ছে।” গোটা এই ঘটনায় অস্বস্তিতে এলাকার শাসকদল। অন্যদিকে, ব্লকে বিডিও রজতরঞ্জন দাস লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর